দলের পারফরম্যান্সের কাটাছেঁড়ার কাজটা সাধারণত সিরিজ বা টুর্নামেন্ট শেষেই হয়। কিন্তু ভারতের এমনই দুর্দশা, সিরিজ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন না নির্বাচকেরা। ডাকলেন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ও টিম ম্যানেজমেন্টকে। খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে চাইলেন, সমস্যাটা কোথায়।
সর্বশেষ নয়টি সীমিত ওভার ম্যাচের সাতটিতেই হারে প্রশ্নের পাহাড় ধোনির দলের সামনে। অজিঙ্কা রাহানেকে নিয়ে কেন এমন টানাহেঁচড়া চলছে? একবার তাঁকে অধিনায়ক করা হচ্ছে। আরেকবার পানি নিয়ে মাঠে নামতে হচ্ছে। একদিন নামছেন তিনে, তো আরেকদিন ছয়ে। ওদিকে বিরাট কোহলির ব্যাটে রান কোথায়? ব্যাটিং অর্ডারে পাঁচ-ছয়-সাত কেন অস্থিতিশীল?
সভায় কী কী আলোচনা হলো, বিস্তারিত না জানালেও ভারতীয় দলের পারফরম্যান্সে উদ্বেগ লুকোলেন না নির্বাচকদের প্রধান সন্দীপ পাতিল। বললেন, ‘এটা খুশি হওয়া-না হওয়ার ব্যাপার নয়। আমরা চিন্তিত। দলের ম্যানেজমেন্ট ও অধিনায়কের সঙ্গে দুই নির্বাচকের বসার কথা ছিল। আজ অধিনায়কের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।’
কী আলোচনা হয়েছে অধিনায়ক-দলের ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে, এমন প্রশ্নে অবশ্য সন্দীপের কৌশলী উত্তর, ‘তারা যখন জেতে, আমাদের ভালো লাগে। যখন হারে, খারাপ লাগে। যে ম্যাচটা জেতা উচিত, সেটা হারলে কারও ভালো লাগার কথা নয়। যে দল আমরা নির্বাচন করেছি, এখনো তাদের সমর্থন করছি। দলের ম্যানেজমেন্ট ও কোচিং স্টাফকে সমর্থন করছি। তারা ভালো করুক, সেটাই চাই। যে বিষয়গুলোয় আরও মনোযোগ দেওয়া উচিত, সে সব নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি, দলের ম্যানেজমেন্ট এবং অধিনায়ক এসবে মনোযোগ দেবে।’
সাম্প্রতিক ব্যর্থতায় ধোনি জানিয়েছেন, দলের ব্যাটিং অর্ডারে পাঁচ, ছয় এবং সাত কিছুটা নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। কেন এমনটা মনে করছেন ভারত অধিনায়ক? নির্বাচকেরা যে দল দিয়েছেন তাতে কি তিনি সন্তুষ্ট নন? নাকি নির্বাচকেরা দূরদৃষ্টি দেখাতে পারেননি?
পাতিল বললেন, ‘সব নির্বাচকেরা মনে করেন, সেরা দলটাই বেছে নেওয়া হয়েছে। আর সেরা একাদশ তৈরির দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া হয় টিম ম্যানেজমেন্টের হাতে। এ নিয়ে আলোচনা করেছি কিনা জানতে চাইলে বলব, হ্যাঁ, এ ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা কয়েকটি বিষয় নিয়ে চিন্তিত। আশা করি, এ আলোচনার পর সব ঠিকঠাক কাজ করবে।’
প্রশ্ন উঠেছে রাহানেকে ঠিকমতো ব্যবহার নিয়েও। ভারতের প্রধান নির্বাচক সরাসরি না বললেও খানিকটা ঘুরিয়ে জানালেন, ‘কেবল অজিঙ্কা নয়, অন্যান্য খেলোয়াড় নিয়ে অধিনায়ক ও দলের ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
রাহানেকে যেভাবে খেলানো হচ্ছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট কিনা প্রশ্নটা এড়িয়েই গেলেন পাতিল। বললেন, ‘আমি খুশি কী অখুশি, বিষয়টি তা নয়। অধিনায়ক ও দলের ম্যানেজমেন্টের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমরা এসব বিষয় নিয়েই কথা বলেছি। কেবল রাহানে নয়, আরও অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করি, এসব তাদের ভাবনায় কাজে দেবে।’ সূত্র: ক্রিকইনফো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন