টেস্ট ক্রিকেট মানেই তো সাদা পোশাক এবং লাল বল। কিন্তু মাথা থেকে এই চিরপরিচিত চিন্তাটি ফেলে দেওয়ার সময় কি চলে এল? ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আইসিসির কথাবার্তায় তার ইঙ্গিতই মিলছে। আজ সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন বলেছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে টেস্ট ক্রিকেট থেকে লাল বলকে বিদায় বলে দেওয়ার সময় এসে গেছে।
ক্রিকেট নানা সময়ে নানা পরিবর্তন দেখেছে। টি-টোয়েন্টির জনপ্রিয়তার মাঝে টেস্ট ক্রিকেটকে টিকিয়ে রাখতে দিবা-রাত্রির টেস্ট আয়োজনের সিদ্ধান্তও নিয়েছে আইসিসি। আগামী ২৭ নভেম্বর অ্যাডিলেডে ঐতিহাসিক সেই টেস্টে খেলতে নামবে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড। দিবা-রাত্রির খেলায় ফ্লাডলাইটে লাল বল দেখতে পাওয়া মুশকিলের ব্যাপার। সে জন্য এই টেস্টটি খেলা হবে গোলাপি বলে। এই খেলাতেই বোঝা যাবে, গোলাপি বলে টেস্ট খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব কি না। তাহলে যে অনেক দিনের পুরোনো এক ধাঁধার উত্তর খুঁজে পাবে আইসিসি।
আলোক স্বল্পতা টেস্ট ইতিহাসের পুরোনো সঙ্গী। কখনো কখনো দেখা যায়, দিনের নির্ধারিত সময়ের আগেই খেলা থামিয়ে দিতে হচ্ছে পর্যাপ্ত আলো না থাকায়। এর প্রভাব পড়ছে ম্যাচেও। গত শনিবারই যেমন ‘জেতা ম্যাচ’ ড্র করে আসতে হলো ইংল্যান্ডকে। জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ২৫ রান, হাতে ৬ উইকেট। দিনের নির্ধারিত আরও ৮ ওভার খেলা হলেই তো ইংল্যান্ড জেতে।
তাই পুরোনো এই বিষয়েই কথা বলতে হলো রিচার্ডসনকে, ‘ঐতিহাসিকভাবেই আমাদের বারবার এই সমস্যায় পড়তে হয়েছে। আমরা এর সমাধান খুঁজে বেড়াচ্ছি অনেক দিন ধরে। আপাতত অন্য রঙের বলের সন্ধানে আছি আমরা। গোলাপি বলটি কেমন আচরণ করে সেটি দেখেই আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারব।’
এরপরই ইঙ্গিত দিলেন টেস্ট ক্রিকেটে থেকেই লাল বলকে সরিয়ে দেওয়ার, ‘বলটির (গোলাপি) মান, আচরণ কেমন, সেটি দেখতে হবে। বলের সুইং কেমন, দীর্ঘ সময়জুড়ে সেটি টিকে থাকছে কি না, সবকিছুই বিবেচনা করে দেখতে হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে কেবল দিবা-রাত্রি নয়, সব ধরনের টেস্টেই এই বল ব্যবহার করা যেতে পারে। তাহলে আলোক স্বল্পতার এই সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি পাব।’
এই উদ্যোগ কতটুকু ফলপ্রসূ হয়, সেটিই দেখার। এখন পর্যন্ত লাল বল ছাড়া অন্য কোনো রঙের বলই ৮০ ওভার টিকে থাকেনি। টেস্টে কমপক্ষে ৮০ ওভার না হলে বল পরিবর্তন করা যায় না। অ্যাডিলেড টেস্টে হয়তো অনেক প্রশ্নেরই উত্তর পেয়ে যাবে আইসিসি। সূত্র: এএফপি।
ক্রিকেট নানা সময়ে নানা পরিবর্তন দেখেছে। টি-টোয়েন্টির জনপ্রিয়তার মাঝে টেস্ট ক্রিকেটকে টিকিয়ে রাখতে দিবা-রাত্রির টেস্ট আয়োজনের সিদ্ধান্তও নিয়েছে আইসিসি। আগামী ২৭ নভেম্বর অ্যাডিলেডে ঐতিহাসিক সেই টেস্টে খেলতে নামবে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড। দিবা-রাত্রির খেলায় ফ্লাডলাইটে লাল বল দেখতে পাওয়া মুশকিলের ব্যাপার। সে জন্য এই টেস্টটি খেলা হবে গোলাপি বলে। এই খেলাতেই বোঝা যাবে, গোলাপি বলে টেস্ট খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব কি না। তাহলে যে অনেক দিনের পুরোনো এক ধাঁধার উত্তর খুঁজে পাবে আইসিসি।
আলোক স্বল্পতা টেস্ট ইতিহাসের পুরোনো সঙ্গী। কখনো কখনো দেখা যায়, দিনের নির্ধারিত সময়ের আগেই খেলা থামিয়ে দিতে হচ্ছে পর্যাপ্ত আলো না থাকায়। এর প্রভাব পড়ছে ম্যাচেও। গত শনিবারই যেমন ‘জেতা ম্যাচ’ ড্র করে আসতে হলো ইংল্যান্ডকে। জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ২৫ রান, হাতে ৬ উইকেট। দিনের নির্ধারিত আরও ৮ ওভার খেলা হলেই তো ইংল্যান্ড জেতে।
তাই পুরোনো এই বিষয়েই কথা বলতে হলো রিচার্ডসনকে, ‘ঐতিহাসিকভাবেই আমাদের বারবার এই সমস্যায় পড়তে হয়েছে। আমরা এর সমাধান খুঁজে বেড়াচ্ছি অনেক দিন ধরে। আপাতত অন্য রঙের বলের সন্ধানে আছি আমরা। গোলাপি বলটি কেমন আচরণ করে সেটি দেখেই আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারব।’
এরপরই ইঙ্গিত দিলেন টেস্ট ক্রিকেটে থেকেই লাল বলকে সরিয়ে দেওয়ার, ‘বলটির (গোলাপি) মান, আচরণ কেমন, সেটি দেখতে হবে। বলের সুইং কেমন, দীর্ঘ সময়জুড়ে সেটি টিকে থাকছে কি না, সবকিছুই বিবেচনা করে দেখতে হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে কেবল দিবা-রাত্রি নয়, সব ধরনের টেস্টেই এই বল ব্যবহার করা যেতে পারে। তাহলে আলোক স্বল্পতার এই সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি পাব।’
এই উদ্যোগ কতটুকু ফলপ্রসূ হয়, সেটিই দেখার। এখন পর্যন্ত লাল বল ছাড়া অন্য কোনো রঙের বলই ৮০ ওভার টিকে থাকেনি। টেস্টে কমপক্ষে ৮০ ওভার না হলে বল পরিবর্তন করা যায় না। অ্যাডিলেড টেস্টে হয়তো অনেক প্রশ্নেরই উত্তর পেয়ে যাবে আইসিসি। সূত্র: এএফপি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন