মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৫

গরুর মাংস খাওয়ায় এবার মুসলিম বিধায়কের মুখে কালি

মুখে কালি ও মবিল নিয়েই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন জম্মু-কাশ্মীরের স্বতন্ত্র বিধায়ক প্রকৌশলী রশিদ। ছবি: রয়টার্সমুখে কালি ও মবিল নিয়েই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন জম্মু-কাশ্মীরের স্বতন্ত্র বিধায়ক প্রকৌশলী রশিদ। ছবি: রয়টার্স

বাড়িতে ‘গোমাংস’ ভোজের আয়োজন করেছেন—এই অভিযোগে ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের স্বতন্ত্র বিধায়ক প্রকৌশলী রশিদের মুখে কালি ও মবিল মাখিয়ে দিয়েছে হিন্দু সেনা নামে একটি উগ্র হিন্দু সংগঠন। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানী নয়াদিল্লিতে এক প্রেস কনফারেন্স করার সময় রশিদের মুখে কালি মাখিয়ে দেওয়া হয়।
কয়েক দিন আগে পার্লামেন্টে জম্মু-কাশ্মীরের বিজেপির বিধায়কেরাও একই অভিযোগে রশিদকে মারপিট করেন।
এর আগে দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাবেক উপদেষ্টা সুধীন্দ্র কুলকার্নির মুখে কালি মাখিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন শিবসেনার সমর্থকেরা। পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী খুরশিদ মাহমুদ কাসুরির একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান আয়োজন করায় ১৩ অক্টোবর মুম্বাইয়ে কুলকার্নির বাড়ির সামনেই এ ঘটনা ঘটানো হয়। ওই ঘটনার এক সপ্তাহের মাথায় আবারও মুখে কালি মাখানোর ঘটনা ঘটল।
এনডিটিভি ও দ্য হিন্দুর খবরে বলা হয়, আজ বিকেলে দিল্লির প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন জম্মু-কাশ্মীরের স্বতন্ত্র বিধায়ক প্রকৌশলী রশিদ। সংবাদ সম্মেলন চলার সময়ে সাংবাদিক ও পরিবারের সদস্যদের সামনেই তিনজন হঠাৎ করেই ওই বিধায়কের মুখে কালি এবং মবিল মাখিয়ে দেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দীপক ও দেব ইন্দিরা ইন্দ্রা সিং নামের দুজনকে পুলিশ আটক করেছে। সংবাদ সংস্থাগুলোর খবরে বলা হচ্ছে, এ ঘটনার দায় স্বীকার করেছে বিষ্ণু গুপ্তার নেতৃত্বাধীন হিন্দু সেনা নামের একটি কট্টরপন্থী হিন্দু সংগঠন।
খবরে বলা হয়েছে, ৭ অক্টোবর নিজের বাড়ি শ্রীনগরে রশিদ ‘গোমাংস’ ভোজের আয়োজন করেন। এতে রাগান্বিত হয়ে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তিনি কোনো রাজনৈতিক দল করেন না।
আজ এ ঘটনার পর রশিদ বলেন, ‘বিশ্ব দেখুক ভারত কীভাবে বদলে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে বলে থাকেন তালেবান পাকিস্তানকে গিলে ফেলছে; কিন্তু তারা দেখুক এখানে (ভারত) কী ঘটছে।’ তিনি বলেন, ‘তারা মানসিকভাবে অসুস্থ। কাশ্মীরে এ পর্যন্ত ৮০ হাজার লোককে মেরে ফেলা হয়েছে। একজন প্রকৌশলীর মুখে কালি ছিটানোর ঘটনায় আর এমন কী-ইবা হবে। তাদের জানা উচিত এটা নরেন্দ্র মোদির ভারত, মহাত্মা গান্ধীর ভারত নয়।’

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন