বাংলাদেশের গাইবান্ধায় এক শিশুকে গুলি করার ঘটনায় অবশেষে পুলিশ আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বুধবার রাত সোয়া ১০টায় দিকে তাকে ঢাকার উত্তরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মুনতাসিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রথমে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে রাখার কথা ভাবা হলেও, পরে রাতেই তাকে গাইবান্ধায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারণ সকালে তাকে সেখানের আদালতে তোলা হবে।
গত ২ অক্টোবর সুন্দরগঞ্জ উপজেলার এক রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালালে ৯ বছরের শিশুটি দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হয় বলে তার পরিবার অভিযোগ করেছে।
গুলিবিদ্ধ শিশু শাহাদাত হোসেন সৌরভ চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র।
তার পিতা মোঃ: সাজু মিয়া বলেছেন, “আমার শিশু সন্তান ভোরে চাচার সাথে বাড়ির সামনে রাস্তায় হাঁটতে বেরিয়েছিল।তখন ঐ পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন।সংসদ সদস্য গাড়ি থামিয়ে আমার সন্তানের পায়ে তিনটি গুলি করে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।”
ঘটনার পর তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে আওয়ামী লীগের একটি অংশসহ স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন সমাবেশ করে।
মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে আসামী করে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন শিশুটির পিতা মোঃ সাজু মিয়া।
তিনি গা ঢাকা দিলেও, ১২ অক্টোবর হাইকোর্টে হাজির হয়ে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করে তাকে নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
বুধবার সেই আদেশের স্থগিতাদেশ চেয়ে রাষ্ট্র পক্ষ আপিল বিভাগের চেম্বার জাজের কাছে আবেদন করে।
আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশ দেয়ার পর অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, এখন তাকে গ্রেপ্তারে আইনগত কোন বাধা নেই।
দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও একই মন্তব্য করেন।
শেষ পর্যন্ত রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হলো। bbc bangla
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন