বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৫

ধর্মীয় অসহিষ্ণুতায় সরকারের কিছু করণীয় নেই: মোদী

 
                     ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী                
ভারতে সাম্প্রতিক সময়ের বিতর্কিত ও ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার কিছু ঘটনা নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক সাংবাদিকের কাছে এই প্রথমবারের মত করা এক মন্তব্যে বলেছেন এসব ঘটনা তাঁর ভাষায় দুঃখজনক হলেও এখানে সরকারের কোনো ভূমিকা নেই।
উত্তর প্রদেশের দাদরি গ্রামে গরুর মাংস খাওয়ার গুজব ছড়িয়ে মুসলিম এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারা বা পাকিস্তানি গায়ক গুলাম আলিকে মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠান করতে না দেওয়া এসব ঘটনা নিয়ে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ তুলে সারা দেশে যে বিতর্ক উঠেছে মি: মোদী এর জন্য মেরুকরণের রাজনীতিকে দায়ী করেছেন।
আনন্দবাজার পত্রিকার সাংবাদিক জয়ন্ত ঘোষালের সঙ্গে আলাপকালে মি: মোদী একথা বলেন।
জয়ন্ত ঘোষাল বিবিসিকে বলছিলেন, এখনো সরকারিভাবে, বা টুইটারে বা আনুষ্ঠানিকভাবে মি. মোদী কোন প্রতিক্রিয়া জানাননি।
মি. মোদী বলছিলেন, এগুলো সামাজিক সমস্যা, কিন্তু সরকারের কোন ভূমিকা নেই। সামাজিক একটা ঘটনা ঘটেছে, তার তদন্ত হচ্ছে, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। রাজ্য সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে কথাও হচ্ছে।
জয়ন্ত ঘোষালকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলছেন, এই বিষয়টি নিয়ে তারা কোন রাজনৈতিক সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করেননি। বরং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরাই এটিকে নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগাচ্ছে।
                 উত্তর প্রদেশের দাদরি গ্রামে গরুর মাংস খেয়েছে সন্দেহে মোহাম্মদ আখলাককে সম্প্রতি পিটিয়ে মারা করা হয়                
কিন্তু এতদিনেও এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোন মন্তব্য করা হয়নি কেন?
নরেন্দ্র মোদী বলছেন, দেশের সব ঘটনার জবাবে প্রতিক্রিয়া জানানোই সরকারের কাজ নয়। কিন্তু যেসব ঘটনা ঘটে, সেটার তদন্ত হচ্ছে কিনা, সেটার বিষয়ে ব্যবস্থা হচ্ছে কিনা, সেটাই হচ্ছে বিবেচ্য বিষয়। এখানে অসহিষ্ণুতার কিছু নেই।
সম্প্রতি ভারত জুড়ে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তার প্রতিবাদ জানাতে অনেক লেখক সাহিত্যিক তাদের রাষ্ট্রীয় পুরষ্কার ফিরিয়ে দিচ্ছেন, সেটা কি সরকারের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে?
বিজেপির অন্য নেতাদের উদ্ধৃতি দিয়ে সাংবাদিক জয়ন্ত ঘোষাল বলছেন, বিজেপি মনে করে, সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত অগ্রাহ্য করে সংখ্যালঘুদের পক্ষে বলাটাই যদি প্রগতিশীলতা হয়, এ নিয়ে যদি বিতর্ক হয়, তাতে তাদের কোন আপত্তি নেই।
বিভেদ হলে সেটা সিভিল সোসাইটির মধ্যেই হওয়া উচিত, রাজনীতির তকমা সেখানে না লাগানোই ভালো। bbc bangla
 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন