কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানবসভ্যতার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। এ কথা বলেছেন বিশ্বখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট রেডিটের ‘আস্ক মি এনিথিং’ নামের প্রশ্নোত্তরপর্বে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই মন্তব্য করেছেন। তিনি লিখেছেন গণমাধ্যম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে যে ধারণা পোষণ করে তা ঠিক নয়। সবচেয়ে বড় ভয়টা কর্মক্ষমতা নিয়ে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হয়তো কোনো কাজ দক্ষতার সঙ্গে কম সময়ে সম্পন্ন করবে। কিন্তু মানুষের সেই গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে না চলাটাই বিপদের কারণ।
প্রায় দুই মাস আগে বিশ্বখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট রেডিটের ‘সায়েন্স কমিউনিটি’তে এক বার্তায় তাঁকে যেকোনো প্রশ্ন করার আহ্বান জানান। ‘আস্ক মি এনিথিং’ বা এএমএ রেডিটের একটা শাখা। যেখানে যে কেউ বিনা মূল্যে অ্যাকাউন্ট খুলে নিজেকে প্রশ্ন করতে বলতে পারেন। দুই মাস পর সেই প্রশ্নগুলোর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত উত্তর প্রকাশ করেন এই ব্রিটিশ বিজ্ঞানী। জটিল মোটর নিউরন রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বিশেষভাবে তৈরি কম্পিউটারে লিখে লিখে দৈনন্দিন যোগাযোগের কাজ সারেন স্টিফেন হকিং।নয় হাজারের বেশি প্রশ্ন তাঁকে জিজ্ঞেস করে বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ। যার মধ্যে নয়টির উত্তর দিয়েছেন হকিং। খারাপ রোবট পৃথিবী দখল করে নেবে কল্পকাহিনিনির্ভর চলচ্চিত্রে এত দিন আমরা যা দেখে এসেছি তা ঠিক না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। মানুষের সমকক্ষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি কবে নাগাদ সম্ভব হতে পারে তা জানা নেই তাঁর।
স্টিফেন হকিং উল্লেখ করেন, সুতরাং আপনার জীবদ্দশায় এমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক যন্ত্র দেখে যেতে পারবেন কি পারবেন না, এ বিষয়ে যেকোনো ধারণা ভুল। তাহলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুফল? প্রযুক্তি একসময় এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছাবে যেখানে আমাদের সব কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হবে। বিজ্ঞানভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর বেশি দিলেও পছন্দ-অপছন্দের কথাও লিখেছেন স্টিফেন হকিং। তাঁর পছন্দের টিভি অনুষ্ঠান দ্য বিগ ব্যাং থিউরি এবং পছন্দের গান রড স্টুয়ার্টের ‘হ্যাভ আই টোল্ড ইউ লেটলি’। আপভোটেড অবলম্বনে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন