রবিবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৫

উদ্বিগ্ন আঙ্কারা, তুরস্ক থেকে সামরিক স্থাপনা সরাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র



 
তুরস্কের আকাশ সীমা অব্যাহতভাবে লংঘনের প্রেক্ষিতে আঙ্কারার পক্ষ থেকে দেশটিতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারে ন্যাটোর প্রতি আহবান জানানোর একদিন পরই যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ক থেকে তাদের সামরিক সরঞ্জাম প্রত্যাহার শুরু করেছে।
গত শুক্রবার থেকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কে স্থাপিত তাদের সামরিক স্থাপনাসমূহ হালনাগাদ এবং সিরিয়া থেকে এসব স্থাপনা কতটা হুমকির ঝুঁকিতে রয়েছে সে মাত্রা নির্ণয়ের জন্য সরিয়ে নেয়া শুরু করে।
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের কাছে রাশিয়ার জঙ্গিবিমানের তুরস্কের আকাশসীমা লংঘনের ও বিদ্রোহীদের ওপর বিমান হামলার মধ্যে কৌশলগত কারনে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক স্থাপনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত তুরস্কের জন্য বাস্তবিকই উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পর্যাপ্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় তুরস্ককে তার সীমান্তবর্তী এলাকা সুরক্ষিত রাখতে কেবল ইউরোপীয় সামরিক জোট ন্যাটোর ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে।
এর আগে ইরাকে সাদ্দাম হোসাইনের আমলে প্রথমবারের মত তুরস্ক নিজ ভূখন্ডে তার সহযোগীদের সামরিক স্থাপনা মোতায়েনের আহবান জানায়। আর এবার সিরিয়ায় আসাদ সরকারের হুমকি মোকাবেলায় দ্বিতীয়বারের মত সহযোগীদের সামরিক স্থাপনা মোতায়েনের আহবান জানালো।
এদিকে তুরস্কের নিরাপত্তায় সবকিছু করতে প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছে ইউরোপের সামরিক জোট ন্যাটো। রাশিয়ার উসকানিমূলক আচরণের বিপরীতে আঙ্কারাকে সুরক্ষা করতে প্রয়োজনে সেনা পাঠাবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
রুশ জঙ্গিবিমান তুরস্কের আকাশসীমা লংঘনের পর ন্যাটো এ কথা জানায়।
অন্যদিকে রাশিয়া সিরিয়ায় বিমান হামলা চালিয়ে যুদ্ধের তীব্রতা বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদেশগুলো।
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের কাছে রাশিয়ার জঙ্গিবিমানের তুরস্কের আকাশসীমা লংঘনের ঘটনাটি নিয়ে তুরস্ক ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর কর্মকর্তারা যখন উদ্বিগ্ন ঠিক তখনই যুক্তরাষ্ট্র সামরিক স্থাপনা সরিয়ে নেয়া শুরু করলো। 
গত বৃহস্পতিবার ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ সাংবাদিকদের বলেন, ন্যাটো যে কোনো হুমকি থেকে তুরস্কসহ সব মিত্রদেশকেই সুরক্ষা দিতে সক্ষম।
রাশিয়ার বিমান এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলাই উদ্বেগের কারণ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তার মতে, সিরিয়ায় রাশিয়ার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন খুব অসহযোগিতামূলক। মস্কোকে অবশ্যই সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সমর্থন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের মিত্র রাশিয়া সপ্তাহখানেক আগে আইএসের ওপর হামলা শুরু করে। এরই মধ্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তারা আসাদবিরোধী পক্ষের ওপর হামলা চালাচ্ছে, যারা সন্ত্রাসী নয়। তবে এ অভিযোগ নাকচ করেছে মস্কো।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পশ্চিমা দেশগুলো সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘ফ্রি সিরিয়ান আর্মি’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে আইএস ও অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য।

the daily sangram

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন