রবিবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৫

আংকারায় বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা ৮৬-তে উঠেছে

    turkey ankara                           
তুরস্কের রাজধানী আংকারায় এক 'শান্তি সমাবেশে' যোগ দিতে আসা লোকের মধ্যে দুটি শক্তিশালী বিস্ফোরণে ৮৬ জন নিহত এবং দু'শতাধিক আহত হয়েছে।
স্থানীয় টিভির খবরে দেখা যায়, আংকারার প্রধান রেল স্টেশনের কাছে রক্তাক্ত সমাবেশস্থলটির মাটিতে হতাহতরা পড়ে আছে। চারদিকে আতংকিত লোকজন ছুটোছুটি করছে।
দুটি বিস্ফোরণের অন্তত একটি ছিল আত্মঘাতী হামলা - এমন কথাও বলা হচ্ছে।
কুর্দি জঙ্গী গ্রুপ পিকেকে-র ওপর সেদেশের সরকারি বাহিনী যে আক্রমণ চালাচ্ছে তার অবসানের দাবি জানাতে এই সমাবেশ-মিছিল ডাকা হয়েছিল। সরকারি কর্মকর্তারা এ বিস্ফোরণের জন্য সন্ত্রাসীদের দাযী করেছেন, তবে কুর্দি সমর্থক এইচডিপি পার্টি অভিযোগ করেছে, এ বিস্ফোরণের পেছনের রাষ্ট্রেরই হাত আছে।
turkey explosion                 বিস্ফোরণে আহত একজন                
বিবিসির মার্ক লোয়েন বলছেন, এ কথার ভেতর দিয়ে প্রকৃতপক্ষে ‘ডিপ স্টেট’ বা ‘রাষ্ট্রের ভেতরে আরেকটি রাষ্ট্রের’ প্রতিই ইঙ্গিত করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বোঝানো হয় তুরস্কের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাসীনদের সমর্থক বিভিন্ন জাতীয়তাবাদী শক্তির জো্টকে। অনেকে বলেন, এরা অতীতেও একাধিক আক্রমণ চালিয়েছে।
এ বছরই জুন মাসে নির্বাচনের আগে এইচডিপির আরেকটি সমাবেশে একই রকম বোমা হামলা হয়েছিল। যেহেতু আর কিছুদিন পরই নতুন ভোটাভুটি হচ্ছে – তাই আবার একটি আক্রমণ হতে পারে - এমন আশংকা অনেকেই করছিলেন।
turkey_ankara                 নিহতদের দেহ পতাকা দিয়ে ঢাকা                
কারণ পিকেকে’র সাথে যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়ার পর কুর্দি ও জাতীয়তাবাদীদের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশই বাড়ছিল।
মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমা দেশগুলোর সবচেয়ে বড় মিত্র তুরস্ক এখন অর্থনৈতিক সমস্যা, রাজনৈতিক বিভক্তি, সহিংসতা, পিকেকে ও ইসলামিক স্টেটের দ্বিমুখী হুমকি এবং ২০ লাখ সিরীয় শরণার্থী – এসব বহুমুখী সমস্যায় আক্রান্ত।
এই সংকটজনক সময়েই আংকারায় এই শোকাবহ হামলার ঘটনাটি ঘটলো।
তবে এ বিস্ফোরণের পরপরই পিকেকে নভেম্বরের নির্বাচন পর্যন্ত আর কোন আক্রমণ না চালানোর কথা বলেছে, যদি তাদের ওপর পাল্টা কোন আক্রমণ না করা হয়।
তবে এ নিয়ে সরকারি মন্তব্য এখনো পাওয়া যায় নি।

bbc bangla

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন