দলনেতার বাঁশি-কাঁসা-করতালের তালে তালে মাল্লাদের বইঠা ফেলা ও ‘হেইও! হেইও!’ শব্দ ছাপিয়ে ভেসে আসছিল রূপসা নদীর দুই পাড়ের জনতার হর্ষধ্বনি। রূপসা নদীর আকাশ কালো করে এগিয়ে যাচ্ছিল শত শত ইঞ্জিন চালিত ট্রলার। সেসব ট্রলারের দর্শনার্থীরাও মেতে উঠেছিল আনন্দ-উল্লাসে।
নদীর দুই পাড়ের মানুষের ঢল আর নদীর মধ্যে চলে ট্রলারে দর্শনার্থীদের বিনোদন দিয়ে ছুটে চলেছে নৌকা বাইচের নৌকাগুলো। সব মিলিয়ে আজ শনিবার ছিল খুলনাবাসীর জন্য অন্য রকম এক আনন্দ উদ্যাপনের দিন।
কয়েক বছরের মতো বাইচ শুরুর আগেই রূপসা সেতুসহ নদীর দুই তীর মানুষে ভরে যায়। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এই ভিড় বাড়তে থাকে। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ও আরও ভালোভাবে উপভোগের জন্য হাজারো দর্শনার্থী কয়েক শ ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ও বড় কার্গোতে অবস্থান নেন। বেশির ভাগ ট্রলারে উচ্চ শব্দে গান বাজানোর পাশাপাশি চলছিল নানান রকম নাচ। নদীর পাড়ের বড় বড় সরকারি বেসরকারি ভবনে চড়ে এমনকি নদীর পাশে বড় বিলবোর্ডের ওপর চড়েও দর্শনার্থীরা উপভোগ করেছেন নৌকা বাইচ।
বেলা দুইটার দিকে রূপসা নদীর এক নম্বর কাস্টম ঘাট থেকে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে খান জাহান আলী সেতু এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। তিনবার করে বাইচালরা তাঁদের প্রদর্শনী দেখান। বাইচের আগে দুপুরে কাস্টম ঘাটে প্রধান অতিথি হিসেবে বাইচের উদ্বোধন করেন খুলনা জেলা পরিষদ প্রশাসক হারুনুর রশিদ।
এর আগে বাইচ উপলক্ষে সকাল ১১টায় নগরের ময়লাপোতা মোড় থেকে এক শোভাযাত্রা বের করা হয়।
এবারের প্রতিযোগিতায় বড় নৌকা গ্রুপে অংশ নিয়েছে ১৮টি বড় নৌকা এবং ছোট নৌকা গ্রুপে অংশ নিয়েছে আটটি নৌকা।
বড় নৌকা গ্রুপের নৌকাবাইচে প্রথম হয়েছে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মা গঙ্গা, দ্বিতীয় হয়েছে তেরখাদা উপজেলার ময়ূরপঙ্খী ও তৃতীয় হয়েছে একই উপজেলার ভাই ভাই জলপরি। প্রথমকে এক লাখ টাকা, দ্বিতীয়কে ৬০ হাজার ও তৃতীয়কে ৩০ হাজার টাকা পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়।
ছোট নৌকা গ্রুপে প্রথম হয়েছে খুলনার কয়রা উপজেলার সোনার তরী, দ্বিতীয় হয়েছে একই উপজেলার ভাই ভাই টাইগার ও তৃতীয় হয়েছে সাতক্ষীরার জয় মা কালি। এই গ্রুপের প্রথমকে ৫০ হাজার, দ্বিতীয়কে ৩০ হাজার টাকাও তৃতীয়কে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
গ্রামীণফোনের আর্থিক সহায়তায় এবং খুলনা নগর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এই বাইচের আয়োজনে করে।
প্রথম আলো
নদীর দুই পাড়ের মানুষের ঢল আর নদীর মধ্যে চলে ট্রলারে দর্শনার্থীদের বিনোদন দিয়ে ছুটে চলেছে নৌকা বাইচের নৌকাগুলো। সব মিলিয়ে আজ শনিবার ছিল খুলনাবাসীর জন্য অন্য রকম এক আনন্দ উদ্যাপনের দিন।
কয়েক বছরের মতো বাইচ শুরুর আগেই রূপসা সেতুসহ নদীর দুই তীর মানুষে ভরে যায়। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এই ভিড় বাড়তে থাকে। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ও আরও ভালোভাবে উপভোগের জন্য হাজারো দর্শনার্থী কয়েক শ ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ও বড় কার্গোতে অবস্থান নেন। বেশির ভাগ ট্রলারে উচ্চ শব্দে গান বাজানোর পাশাপাশি চলছিল নানান রকম নাচ। নদীর পাড়ের বড় বড় সরকারি বেসরকারি ভবনে চড়ে এমনকি নদীর পাশে বড় বিলবোর্ডের ওপর চড়েও দর্শনার্থীরা উপভোগ করেছেন নৌকা বাইচ।
বেলা দুইটার দিকে রূপসা নদীর এক নম্বর কাস্টম ঘাট থেকে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে খান জাহান আলী সেতু এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। তিনবার করে বাইচালরা তাঁদের প্রদর্শনী দেখান। বাইচের আগে দুপুরে কাস্টম ঘাটে প্রধান অতিথি হিসেবে বাইচের উদ্বোধন করেন খুলনা জেলা পরিষদ প্রশাসক হারুনুর রশিদ।
এর আগে বাইচ উপলক্ষে সকাল ১১টায় নগরের ময়লাপোতা মোড় থেকে এক শোভাযাত্রা বের করা হয়।
এবারের প্রতিযোগিতায় বড় নৌকা গ্রুপে অংশ নিয়েছে ১৮টি বড় নৌকা এবং ছোট নৌকা গ্রুপে অংশ নিয়েছে আটটি নৌকা।
বড় নৌকা গ্রুপের নৌকাবাইচে প্রথম হয়েছে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মা গঙ্গা, দ্বিতীয় হয়েছে তেরখাদা উপজেলার ময়ূরপঙ্খী ও তৃতীয় হয়েছে একই উপজেলার ভাই ভাই জলপরি। প্রথমকে এক লাখ টাকা, দ্বিতীয়কে ৬০ হাজার ও তৃতীয়কে ৩০ হাজার টাকা পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়।
ছোট নৌকা গ্রুপে প্রথম হয়েছে খুলনার কয়রা উপজেলার সোনার তরী, দ্বিতীয় হয়েছে একই উপজেলার ভাই ভাই টাইগার ও তৃতীয় হয়েছে সাতক্ষীরার জয় মা কালি। এই গ্রুপের প্রথমকে ৫০ হাজার, দ্বিতীয়কে ৩০ হাজার টাকাও তৃতীয়কে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
গ্রামীণফোনের আর্থিক সহায়তায় এবং খুলনা নগর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এই বাইচের আয়োজনে করে।
প্রথম আলো
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন