বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির সীমান্তবর্তী বিলাইছড়ি থেকে সপ্তাহখানেক আগে অপহৃত দুজন পর্যটক এবং গাইডকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।
শনিবার অপহৃতদের কয়েকজন আত্মীয়স্বজন সেখানকার নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে দেখা করেছেন। তবে কারা তাদের অপহরণ করেছে এবং আদৌ মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে কিনা তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যাচ্ছে না।পার্বত্য চট্টগ্রামে সম্প্রতি স্থানীয় বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে এবং বিচ্ছিন্নভাবে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষ দেখা গেলেও পার্বত্য শান্তিচুক্তির পর থেকে গত এক দশকেরও বেশি সময় যাবত পর্যটকদের অপহরণ কিংবা বড় ধরণের হামলার ঘটনা দেখা যায়নি।
কিন্তু গত ৫ই অক্টোবর ঢাকা থেকে ট্রেকিংয়ে যাওয়া দুজন পর্যটক এবং তাদের স্থানীয় গাইড অপহৃত হন রাঙ্গামাটির সীমান্তবর্তী বিলাইছড়ি থানার একটি গ্রাম থেকে।
অপহৃতদের একজন জাকির হোসেনের বন্ধু আরাফাত ইসলামসহ আরো একজন তাদের খোঁজে গেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামে। বান্দরবনের রুমা থেকে তিনি বলছিলেন, ঘটনার ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও তারা এখনো নিশ্চিতভাবে জানেন না অপহৃত দুজনকে কারা নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র থেকে মুক্তিপণ দাবীর কথা জানতে পারলেও অপহরণকারীদের সাথে তাদের সরাসরি কথা হয়নি এবং অপহৃতদের সাথেও তারা কথা বলিয়ে দেয়নি।
অপহৃত মি. হোসেন একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং অপরজন আব্দুল্লাহ জুবায়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বলে জানান মি. ইসলাম। স্থানীয়ভাবে তাদের গাইড ছিলেন মাংসাই ম্রো।
এবিষয়ে জানতে চাইলে রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান বলেন, স্থানীয় কোন গোষ্ঠি কিংবা আরাকান লিবারেশন আর্মি এর সাথে জড়িত কিনা তা এখনো নিশ্চিতভাবে তারা বলতে পারছেন না।
তবে এঘটনার পর তারা পর্যটকদের সতর্ক থাকতে বলছেন।
ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণ পর্যটক বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা বান্দরবনে ট্রেকিংয়ের জন্য যান এবং তারা জনপ্রিয় পর্যটন এলাকার বাইরে পর্বতারোহণের দিকেই বেশি আগ্রহী।
এদিকে বাংলাদেশ মাউন্টেনিয়ারিং এবং ট্রেকিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হক বলছেন, সতর্কবার্তার চাইতে এধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করাটাই বেশি জরুরী।
মি. হক বলেন, তরুণরা যদি পাহাড়ে যেতে ভয় পায়, তবে সেখানকার মানুষদের সাথে তরুণদের যোগাযোগের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে সেটিও হারাতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন