মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৫

আঙ্কারার অন্যতম হামলাকারী শনাক্ত : তুরস্ক

 
     ankara                 আঙ্কারার হামলায় নিহতদের একজনকে স্মরণ করছেন তার প্রিয়জনরা          
      
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যে দু'জন আত্মঘাতী হামলাকারী আঙ্কারায় একটি সমাবেশের ওপর বোমা হামলা চালিয়েছে, কর্তৃপক্ষ তাদের একজনকে প্রায় শনাক্ত করে ফেলেছে। শনিবারের ওই হামলায় একশোর মতো মানুষ নিহত হয়।
প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলু বলেছেন, তদন্তকারী কর্মকর্তারা এখন ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফলের জন্যে অপেক্ষা করছেন। এই হামলার জন্যে তিনি ইসলামিক স্টেইটকে দায়ী করছেন।
তবে সোমবারেও নিহতদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যারা জড়ো হয়েছেন, তাদের অনেকেই নিরাপত্তাহীনতার জন্যে সরকারকে দায়ী করছেন।
আঙ্কারার বিস্ফোরণের পর আজ তুরস্কে শোক পালনের দ্বিতীয় দিন চলছে। তবে এ হামলা কারা চালিয়েছে তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে কোন দাবির কথা শোনা যায় নি।
কর্তৃপক্ষের দিক থেকে এমন কোন সাক্ষ্যপ্রমাণও প্রকাশ করা হয় নি - যা থেকে ধারণা করা চলে যে কারা এ বিস্ফোরণের জন্য দায়ী। তবে এখন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী দাভুতোগলু বলছেন, এ আক্রমণ ইসলামিক স্টেটই চালিয়েছে বলে তাদের প্রধান সন্দেহ।
তিনি জানাচ্ছেন, এখন একটি ডিএনএ পরীক্ষা চলছে যা শেষ হলেই একজন আত্মঘাতী আক্রমণকারীর পরিচয় প্রকাশ করা হবে।
ankara_turkey_protest                 আঙ্কারাতে হামলার বিরুদ্ধে সোমবার মানুষের স্বত:স্ফূর্ত প্রতিবাদ                 
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, জুলাই মাসে কুর্দি-অধ্যুষিত সুরুচ শহরে যে আত্মঘাতী হামলাকারীর বোমায় ৩০ জন লোক নিহত হয়েছিল, তারই ভাই আঙ্কারার এই আক্রমণ চালিয়েছে।
তবে আঙ্কারায় অনেক লোক আছে যারা বিশ্বাস করে যে এর পেছনে কর্তৃপক্ষের হাত আছে।
এরা মনে করেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ইসলামিক স্টেটকে বলির পাঁঠা হিসেবে ব্যবহার করছেন, আসলে এ হামলা চালিয়েছে তথাকথিত 'ডিপ স্টেট' - যা বলতে বোঝানো হয় সরকার-সমর্থক ও জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীগুলোর একটি গোপন চক্রকে - যারা রাষ্ট্রের ভেতরে আরেকটি রাষ্ট্রের মতো কাজ করে।
এই ধারণার সমর্থকরা মনে করেন, তাদের লক্ষ্য ছিল আগামী মাসের নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের প্রতি জনসমর্থনকে জোরদার করা।
তা ছাড়া লোকজনের মধ্যে আরেকটি বিষয় তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে, তা হলো এরকম হামলার আশঙ্কা অনেকদিন ধরেই করা হচ্ছিল - কিন্তু তার পরও সরকার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
শোকাহত এবং ক্ষুব্ধ তুর্কিরা এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা প্রশ্নের জবাব খুঁজছে। bbc bangla

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন