অস্ট্রেলিয়া সিরিজ নিয়ে হঠাৎ করে নতুন গুঞ্জন শুরু হলো গতকাল। অস্ট্রেলিয়া নাকি ‘শিগগির’ই বাংলাদেশে আসছে টেস্ট খেলতে। দুবাইয়ে আইসিসির প্রধান কার্যালয়ে চলমান সভায় মিলিত হয়েছেন বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ডের কর্তা ব্যক্তিরা। সেখানেই নাকি সদ্য স্থগিত ঘোষিত বাংলাদেশ সফর নিয়ে আশা প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ড।
আদতে এই খুশির খবর পুরোপুরিই শুভংকরের ফাঁকি! ‘শিগগির’ই আসার সুযোগই নেই অস্ট্রেলিয়ার। ২০১৭ সালের জুলাই মাস ছাড়া বাংলাদেশের জন্য দুই টেস্টের তিন সপ্তাহের একটি সফরের সূচি বের করা অস্ট্রেলিয়ার জন্য খুবই কঠিন।
আগামী পাঁচ মাস টানা ক্রিকেটে ঠাসা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট সূচি। বর্তমান এফটিপির দিকে তাকালে আগামী এপ্রিলের আগে বাংলাদেশে আসার সম্ভাবনা নেই ক্যাঙারুদের। আবার এপ্রিলে আইপিএলের পরবর্তী আসর। এপ্রিল-মে চলবে আইপিএল, যেখানে অস্ট্রেলিয়ার সব তারকাই খেলেন। জুন-জুলাই-আগস্ট এই তিন মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং শ্রীলঙ্কায় পূর্ণাঙ্গ সফর আছে অস্ট্রেলিয়ার। এর মধ্যে দুটো টেস্ট খেলার জন্য কমপক্ষে তিন সপ্তাহের জায়গা বের করে নিতে না পারলে আগামী সেপ্টেম্বরের আগে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনা ক্ষীণ।
সেপ্টেম্বরে আবার কোনো দেশের জন্যই এফটিপিতে কোনো ম্যাচ রাখা হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার জন্য ২০১৬-এর অক্টোবর থেকে ২০১৭-এর মার্চ পর্যন্ত আবারও ঠাসা সূচি। সেই সূচি শেষ হতে না হতেই ২০১৭-এর আইপিএল (এপ্রিল-মে) শুরু হয়ে যাবে। ২০১৭-এর জুনে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। ২০১৭ সালের জুলাই মাসটাই ফাঁকা আছে অস্ট্রেলিয়ার। আগস্টে বাংলাদেশকেই তাদের দুই টেস্ট আর তিন ওয়ানডের জন্য আতিথেয়তা দেওয়ার কথা।
গতকাল আইসিসির সভাতে ‘শিগগিরই’ বাংলাদেশে খেলতে চাওয়ার ইচ্ছা তাই অস্ট্রেলিয়ার সৌজন্য প্রকাশ বলেই মনে হচ্ছে। যদিও সেই খবরে আশাবাদী হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু আইসিসির এফটিপির দিকে তাকালেই বোঝা যাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার এই ‘শিগগির’ই বাস্তবে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা নেই।
কারণ এফটিপি অনুযায়ী আগামী পাঁচ মাস বেশ ব্যস্ত সময় কাটাবে অস্ট্রেলিয়া দল। নভেম্বরেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলবে তারা। তিন টেস্টের সেই সিরিজের শেষ ম্যাচটি শেষ হবে ১ ডিসেম্বর। ৮ দিন বিরতি দিয়ে ১০ ডিসেম্বর শুরু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন টেস্টের সিরিজ। শেষ হবে ৭ জানুয়ারি। ১২ জানুয়ারি ৫ ম্যাচের প্রথম ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফর। যে সফর শেষ হবে ৩১ জানুয়ারি।
পুরো ফেব্রুয়ারি মাস অস্ট্রেলিয়া ব্যস্ত থাকবে নিউজিল্যান্ড সফরে। মার্চের প্রথম ভাগে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে তারা। ৯ মার্চ এই সিরিজ শেষ। ১১ মার্চ থেকে ভারতে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যেটি শেষ হবে ৩ এপ্রিল। এপ্রিল-মে মাসে আইপিএল।
জুন-জুলাই-আগস্ট এই তিন মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং শ্রীলঙ্কা সফরের সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে বোঝা যাচ্ছে না এর মধ্যে তিন সপ্তাহের ফাঁকা জায়গা আছে কিনা। তা ছাড়া আগামী বছর সেপ্টেম্বরে এফটিপির সেই ফাঁকা জায়গাটিতে সিরিজ রাখা হবে কি না সেটিও নিশ্চিত নয়। এর মধ্যে করা সম্ভব না হলে ২০১৭ সালের জুলাইয়ের আগে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ সিরিজ সম্ভবত হচ্ছে না!
আদতে এই খুশির খবর পুরোপুরিই শুভংকরের ফাঁকি! ‘শিগগির’ই আসার সুযোগই নেই অস্ট্রেলিয়ার। ২০১৭ সালের জুলাই মাস ছাড়া বাংলাদেশের জন্য দুই টেস্টের তিন সপ্তাহের একটি সফরের সূচি বের করা অস্ট্রেলিয়ার জন্য খুবই কঠিন।
আগামী পাঁচ মাস টানা ক্রিকেটে ঠাসা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট সূচি। বর্তমান এফটিপির দিকে তাকালে আগামী এপ্রিলের আগে বাংলাদেশে আসার সম্ভাবনা নেই ক্যাঙারুদের। আবার এপ্রিলে আইপিএলের পরবর্তী আসর। এপ্রিল-মে চলবে আইপিএল, যেখানে অস্ট্রেলিয়ার সব তারকাই খেলেন। জুন-জুলাই-আগস্ট এই তিন মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং শ্রীলঙ্কায় পূর্ণাঙ্গ সফর আছে অস্ট্রেলিয়ার। এর মধ্যে দুটো টেস্ট খেলার জন্য কমপক্ষে তিন সপ্তাহের জায়গা বের করে নিতে না পারলে আগামী সেপ্টেম্বরের আগে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনা ক্ষীণ।
সেপ্টেম্বরে আবার কোনো দেশের জন্যই এফটিপিতে কোনো ম্যাচ রাখা হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার জন্য ২০১৬-এর অক্টোবর থেকে ২০১৭-এর মার্চ পর্যন্ত আবারও ঠাসা সূচি। সেই সূচি শেষ হতে না হতেই ২০১৭-এর আইপিএল (এপ্রিল-মে) শুরু হয়ে যাবে। ২০১৭-এর জুনে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। ২০১৭ সালের জুলাই মাসটাই ফাঁকা আছে অস্ট্রেলিয়ার। আগস্টে বাংলাদেশকেই তাদের দুই টেস্ট আর তিন ওয়ানডের জন্য আতিথেয়তা দেওয়ার কথা।
গতকাল আইসিসির সভাতে ‘শিগগিরই’ বাংলাদেশে খেলতে চাওয়ার ইচ্ছা তাই অস্ট্রেলিয়ার সৌজন্য প্রকাশ বলেই মনে হচ্ছে। যদিও সেই খবরে আশাবাদী হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু আইসিসির এফটিপির দিকে তাকালেই বোঝা যাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার এই ‘শিগগির’ই বাস্তবে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা নেই।
কারণ এফটিপি অনুযায়ী আগামী পাঁচ মাস বেশ ব্যস্ত সময় কাটাবে অস্ট্রেলিয়া দল। নভেম্বরেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলবে তারা। তিন টেস্টের সেই সিরিজের শেষ ম্যাচটি শেষ হবে ১ ডিসেম্বর। ৮ দিন বিরতি দিয়ে ১০ ডিসেম্বর শুরু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন টেস্টের সিরিজ। শেষ হবে ৭ জানুয়ারি। ১২ জানুয়ারি ৫ ম্যাচের প্রথম ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফর। যে সফর শেষ হবে ৩১ জানুয়ারি।
পুরো ফেব্রুয়ারি মাস অস্ট্রেলিয়া ব্যস্ত থাকবে নিউজিল্যান্ড সফরে। মার্চের প্রথম ভাগে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে তারা। ৯ মার্চ এই সিরিজ শেষ। ১১ মার্চ থেকে ভারতে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যেটি শেষ হবে ৩ এপ্রিল। এপ্রিল-মে মাসে আইপিএল।
জুন-জুলাই-আগস্ট এই তিন মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং শ্রীলঙ্কা সফরের সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে বোঝা যাচ্ছে না এর মধ্যে তিন সপ্তাহের ফাঁকা জায়গা আছে কিনা। তা ছাড়া আগামী বছর সেপ্টেম্বরে এফটিপির সেই ফাঁকা জায়গাটিতে সিরিজ রাখা হবে কি না সেটিও নিশ্চিত নয়। এর মধ্যে করা সম্ভব না হলে ২০১৭ সালের জুলাইয়ের আগে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ সিরিজ সম্ভবত হচ্ছে না!
prothom alo
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন