ফুটবল সম্রাট পেলের মতে তাঁর পরবর্তী প্রজন্মের সেরা ফুটবলার মেসি। আর তাঁর সময়কার ফুটবলারদের মধ্যে অন্যতম সেরা ছিলেন ববি মুর। ঘটনাচক্রে মারাদোনার নাম মুখেও আনেননি পেলে।
তিনদিনের সফরে পেলে এখন কলকাতায়। আজ শহরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি।প্রথম প্রশ্নটা স্বাভাবিকভাবেই ছিল ফিফার দুর্নীতি নিয়ে। কিন্তু পেলে বলেই দিলেন এই নিয়ে তিনি কোনও প্রশ্ন গ্রহণ করবেন না। তবে এটা জানাতে ভোলেন নি যে তিনি নিজে ফিফা সভাপতি হওয়ার দৌড়ে নেই।
ব্রাজিলের ফুটবল নিয়ে একটা প্রশ্নের জবাবে পেলে বলেন, “দলটায় সেরা খেলোয়াড়রা রয়েছে। কিন্তু একটা টিম হিসাবে খেলতে পারছে না তারা – আর জেতার জন্য সেটাই দরকার। প্রায় সবাই ইউরোপে খেলে – তাই গোটা দল একসঙ্গে অনুশীলন করতে পারে না।’’
তাঁর মতে, ব্রাজিলীয় ফুটবলের আরও একটা বড় সমস্যা হল এখন আর ক্লাবগুলো ফুটবলারদের নিয়ন্ত্রণ করে না – প্রত্যেকের ম্যানেজার আছে – তারাই সব ঠিক করে দেয়, ক্লাবের কথায় এখন আর কিছু হয় না।
সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিও। ইন্ডিয়ান সুপার লীগে আতলেতিকো দ্য কলকাতার অন্যতম মালিক তিনি।
সৌরভ পেলের কাছে জানতে চেয়েছিলেন ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির জন্য পরবর্তী পাঁচ বছরে কী কী করা যেতে পারে।
সৌরভকে ক্রিকেটের প্রিন্স বলে অভিনন্দন জানিয়ে ফুটবল সম্রাটের মন্তব্য, “ভিতটা শক্ত করতে হবে। স্কুল পর্যায় থেকেই পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে।’’
সেই সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, “আর খেলোয়াড়দের বিদেশে খেলতে পাঠাতে হবে যাতে ভাল দলের সেরা ফুটবলারদের সঙ্গে নিয়মিত খেলতে পারে তারা, অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরতে পারে দেশে।’’
ইন্ডিয়ান সুপার লীগের মতো টুর্নামেন্টও ভারতীয় ফুটবলের উন্নতিতে সাহায্য করবে বলে মনে করেন পেলে। মঙ্গলবার তিনি আই এস এলের একটা ম্যাচ দেখতে হাজির থাকবেন কলকাতায়।
১৯৭৭ সালে প্রথমবার কলকাতায় খেলতে এসেছিলেন পেলে – মোহনবাগানের বিরুদ্ধে একটা প্রদর্শনী ম্যাচে। সেবার মাঠে নেমেছিলেন কিছুক্ষণের জন্য – সে কথা কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের এখনও মনে রয়েছে।
তারপর আবার আটত্রিশ বছর এই। কিন্তু সম্রাট এখন বৃদ্ধ হয়েছেন – লাঠিতে ভর দিয়ে চলতে হয় তাঁকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন