বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বগুড়ায় জনসভা করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাত বছর পর জেলাটিতে তার আগমন ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে আগ্রহ-উদ্দীপনা।
বৃহস্পতিবার সকালে হেলিকপ্টারযোগে বগুড়ায় পৌঁছে প্রথমে সেনানিবাসের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বিকেলে শহরের আলতাফুন্নেচ্ছা খেলার মাঠে জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।
বগুড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে ১৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ১৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিথ্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নানা বর্ণে সেজেছে বগুড়া। প্রবেশ পথ চাঁন্দাইকোনা থেকে বগুড়া শহর পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার মহাসড়কে ধাপে ধাপে সাঁটানো হয়েছে ব্যানার, ফেস্টুন; তৈরি করা হয়েছে বড় বড় তোরণ।
শহরের প্রবেশদ্বার বনানী থেকে জনসভাস্থল আলতাফুন্নেচ্ছা খেলার মাঠ সাজানো হয়েছে নানা রঙে। এছাড়া ব্যানার, তোরণ আর ফেস্টুনে ছেঁয়ে গেছে পুরো শহর।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনে বগুড়াবাসীর দীর্ঘদিনের দাবিগুলো পূরণের পথ খুলবে বলে আশা করছেন স্থানীয়রা। এতে এলাকায় রাজনৈতিক পরিবর্তনের সূচনা হতে পারে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।
বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আখতারুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখানকার জনগণ দীর্ঘদিন এলাকায় প্রধানমন্ত্রীকে দেখেনি। প্রধানমন্ত্রী বগুড়ায় উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করার পাশাপাশি আরও উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিস্থাপন করবেন।
“বগুড়াবাসী প্রত্যাশা করছেন, এর বাইরেও তিনি আরো উন্নয়ন প্রকল্পের ঘোষণা দেবেন। স্বাভাবিকভাবেই জনগণের মধ্যে এর প্রভাব সৃষ্টি হবে এবং স্থানীয়দের মধ্যে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা আরো বৃদ্ধি পাবে।”
জেলা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) সভাপতি আইনুল হক সোহেল বলেন, “বগুড়া শিল্প নগরী হিসেবে পরিচিত ছিল। প্রধানমন্ত্রী বগুড়াকে শিল্প জোন ঘোষণা করবেন-এ প্রত্যাশা রয়েছে স্থানীয়দের।”
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে স্বাগত জানিয়ে শহরের সাতমাথার ফল ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আসছেন-এটা আমাদের জন্য সুখবর। উনি বগুড়াবাসীকে বড় কিছু দিয়ে যাবেন বলে আশা করছি।”
প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রত্যাশা তুলে ধরে শহরের চেলোপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল লতিফ বলেন, “বগুড়ার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা বগুড়া সিটি করপোরেশন ঘোষণা এবং এখানে রেললাইন নির্মাণ। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে ঘোষণা দেবেন বলে আমরা আশা করছি।”
প্রধানমন্ত্রী সর্বশেষ ২০০৮ সালে বগুড়ায় এসেছিলেন বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার সময় বগুড়া সার্কিট হাউজে একটি মতবিনিময় সভায় অংশ নেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জেলা বগুড়ার রাজনীতিতে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর আধিপত্য রয়েছে।
২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাতটি আসনের মধ্যে দুটিতে জয় পায় আওয়ামী লীগ জোট।
তবে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বিএনপি বর্জন করায় এই জেলার সাতটি আসনই এখন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর দেশের যেসব সহিংস ও নাশকতা হয় তার উল্লেখযোগ্য অংশ ঘটে বগুড়ায়।
এরপর চলতি বছরের শুরুতে বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধেও বগুড়ায় গাড়িতে পেট্রাল বোমা নিক্ষেপসহ অন্যান্য নাশকতার ঘটনা ঘটে।
এ প্রেক্ষাপটের মধ্যেই বগুড়ায় নানা উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও নতুন প্রকল্পের ভিত্তিস্থাপন করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন নিয়ে সারিয়াকান্দি-সোনাতলা আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দীর্ঘদিন পর প্রধানমন্ত্রী বগুড়ায় আসছেন, এজন্য বগুড়াবাসী আনন্দিত এবং তাদের প্রত্যাশাও অনেক বেশি।”
বগুড়ায় সিটি করপোরেশন ঘোষণা, সিরাজগঞ্জের সঙ্গে রেলপথ নির্মাণ, ফুটবল স্টেডিয়ামসহ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প বাত্তবায়ন করা গেলে বগুড়ার রাজনীতিতে পরিবর্তন ঘটবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক।
রিয়াজুল বাশার ও জিয়া শাহীন, বগুড়া থেকে, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
বগুড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে ১৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ১৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিথ্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নানা বর্ণে সেজেছে বগুড়া। প্রবেশ পথ চাঁন্দাইকোনা থেকে বগুড়া শহর পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার মহাসড়কে ধাপে ধাপে সাঁটানো হয়েছে ব্যানার, ফেস্টুন; তৈরি করা হয়েছে বড় বড় তোরণ।
শহরের প্রবেশদ্বার বনানী থেকে জনসভাস্থল আলতাফুন্নেচ্ছা খেলার মাঠ সাজানো হয়েছে নানা রঙে। এছাড়া ব্যানার, তোরণ আর ফেস্টুনে ছেঁয়ে গেছে পুরো শহর।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনে বগুড়াবাসীর দীর্ঘদিনের দাবিগুলো পূরণের পথ খুলবে বলে আশা করছেন স্থানীয়রা। এতে এলাকায় রাজনৈতিক পরিবর্তনের সূচনা হতে পারে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।
বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আখতারুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখানকার জনগণ দীর্ঘদিন এলাকায় প্রধানমন্ত্রীকে দেখেনি। প্রধানমন্ত্রী বগুড়ায় উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করার পাশাপাশি আরও উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিস্থাপন করবেন।
“বগুড়াবাসী প্রত্যাশা করছেন, এর বাইরেও তিনি আরো উন্নয়ন প্রকল্পের ঘোষণা দেবেন। স্বাভাবিকভাবেই জনগণের মধ্যে এর প্রভাব সৃষ্টি হবে এবং স্থানীয়দের মধ্যে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা আরো বৃদ্ধি পাবে।”
জেলা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) সভাপতি আইনুল হক সোহেল বলেন, “বগুড়া শিল্প নগরী হিসেবে পরিচিত ছিল। প্রধানমন্ত্রী বগুড়াকে শিল্প জোন ঘোষণা করবেন-এ প্রত্যাশা রয়েছে স্থানীয়দের।”
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে স্বাগত জানিয়ে শহরের সাতমাথার ফল ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আসছেন-এটা আমাদের জন্য সুখবর। উনি বগুড়াবাসীকে বড় কিছু দিয়ে যাবেন বলে আশা করছি।”
প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রত্যাশা তুলে ধরে শহরের চেলোপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল লতিফ বলেন, “বগুড়ার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা বগুড়া সিটি করপোরেশন ঘোষণা এবং এখানে রেললাইন নির্মাণ। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে ঘোষণা দেবেন বলে আমরা আশা করছি।”
প্রধানমন্ত্রী সর্বশেষ ২০০৮ সালে বগুড়ায় এসেছিলেন বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার সময় বগুড়া সার্কিট হাউজে একটি মতবিনিময় সভায় অংশ নেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জেলা বগুড়ার রাজনীতিতে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর আধিপত্য রয়েছে।
২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাতটি আসনের মধ্যে দুটিতে জয় পায় আওয়ামী লীগ জোট।
তবে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বিএনপি বর্জন করায় এই জেলার সাতটি আসনই এখন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর দেশের যেসব সহিংস ও নাশকতা হয় তার উল্লেখযোগ্য অংশ ঘটে বগুড়ায়।
এরপর চলতি বছরের শুরুতে বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধেও বগুড়ায় গাড়িতে পেট্রাল বোমা নিক্ষেপসহ অন্যান্য নাশকতার ঘটনা ঘটে।
এ প্রেক্ষাপটের মধ্যেই বগুড়ায় নানা উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও নতুন প্রকল্পের ভিত্তিস্থাপন করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন নিয়ে সারিয়াকান্দি-সোনাতলা আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দীর্ঘদিন পর প্রধানমন্ত্রী বগুড়ায় আসছেন, এজন্য বগুড়াবাসী আনন্দিত এবং তাদের প্রত্যাশাও অনেক বেশি।”
বগুড়ায় সিটি করপোরেশন ঘোষণা, সিরাজগঞ্জের সঙ্গে রেলপথ নির্মাণ, ফুটবল স্টেডিয়ামসহ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প বাত্তবায়ন করা গেলে বগুড়ার রাজনীতিতে পরিবর্তন ঘটবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক।
রিয়াজুল বাশার ও জিয়া শাহীন, বগুড়া থেকে, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন