বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৫

''বাংলাদেশে ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপ সাময়িক বন্ধ করা হতে পারে''

 
                     জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনে মোবাইল অ্যাপস বন্ধের ঘোষণা দেন।   
             
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার জানিয়েছেন, সন্ত্রাস বন্ধে এবং জঙ্গী দমনে তাঁর সরকার প্রয়োজন হলে ভাইবার এবং হোয়াটসঅ্যাপের মত মোবাইল ফোন অ্যাপসগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেবে।
বুধবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, যোগাযোগ প্রযুক্তির ভালো দিক যেমন আছে, তেমনি অপরাধীরাও এই প্রযুক্তির সুযোগ নিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে ভাইবার এবং হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করে দেয়ার পরিকল্পনা সরকারের আছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের সুফল বাংলাদেশের মানুষ পাচ্ছে। কিন্তু জঙ্গীদের খুঁজে বের করতে যখন প্রয়োজন হবে তখন এসব অ্যাপ কিছুদিনের জন্য সরকার বন্ধ রাখবে।
''এসব বন্ধ রেখেই সন্ত্রাসী এবং জঙ্গীদের ধরার চেষ্টা আমরা করব।"
তবে সরকার কখন এই অ্যাপস্গুলো বন্ধ রাখবে তা জানানো হয়নি।
সন্ত্রাসী ও জঙ্গী কর্মকান্ডে জড়িতদের ধরিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব নাগরিক ও গণমাধ্যমগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ভাইবার এবং হোয়াটসঅ্যাপ বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অনেকে দেশেই মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের কাছে খুবই জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম।
                 ভাইবার এবং হোয়াটসঅ্যাপ বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অনেক দেশেই মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের কাছে খুবই জনপ্রিয় যোগাযোগ প্রযুক্তি।                
তবে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি খাতের একজন বিশেষজ্ঞ আবু সাঈদ খান বলছেন এগুলো মূলত পাবলিক অ্যাপস্‌ এবং এগুলো মোটেও নিরাপদ অ্যাপস্‌ নয়।
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন এই অ্যাপসগুলোর ব্যবহার যেহেতু ব্যাপক এবং বিশেষ করে বাংলাদেশের মত দেশের জন্য সুনির্দিষ্টভাবে এখানে ট্যাপ করা যেহতু বেশ কষ্টকর তাই বাংলাদেশ সরকার হয়ত চিন্তাভাবনা করছে যাতে অপরাধীরা এধরনের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করতে না পারে।
মি: খান মনে করছেন ''এভাবে একধরনের বাধা বা বিঘ্ন অবশ্যই সৃষ্টি করা সম্ভব হবে। কিন্তু এতে যে পুরোপুরি সফল হওয়া যাবে এমন কথা কেউই বলছে না- সরকারও বলছে না।''
তিনি বলছেন সরকারের জন্য এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পুলিশ বাহিনীর ওপর বিনিয়োগ করা।
''পুলিশের প্রশিক্ষণ, পুলিশের নৈতিক মনোবল, প্রতিষ্ঠান হিসাবে পুলিশকে আরও সুদক্ষভাবে তার দায়িত্ব পালনের ব্যবস্থা করে দেওয়া - এটা হচ্ছে সবচেয়ে জরুরি।''
তার মতে পুলিশ বাহিনীর মধ্যে নজরদারি করার দক্ষতা আগের তুলনায় কিছুটা কমে গেছে।
তিনি বলছেন বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীগুলোতে যথেষ্ট মেধাবী অফিসাররা আছেন এবং তারা ঠিকভাবে কাজ করলে এবং উপযুক্ত রসদ সামগ্রী পেলে তারা কার্যকরভাবে এগুলো রোধ করতে পারবে বলে তিনি মনে করেন।
''অতীতেও দেখা গেছে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধীদের শনাক্ত করা হয়েছে, তাদের অবস্থান নিশ্চিত করা এবং তাদের ধরাও হয়েছে।''
তাই এসব অ্যাপস বন্ধ করেই যে শুধু সন্ত্রাসী বা জঙ্গীদের ধরা যাবে তা নয়, আবু সাঈদ খানের ব্যাখ্যায় এর পাশাপাশি মানবসম্পদ ও প্রযুক্তিসম্পদকে কাজে লাগিয়ে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে একটা কার্যকর ভূমিকায় নামার সুযোগ সরকারকে করে দিতে হবে। bbc

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন