বাংলাদেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাচাই করতে ব্রিটিশ বিমান নিরাপত্তা গোয়েন্দাদের একটি দল ঢাকায় গেছে।
ঢাকায় কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, ব্রিটিশ এই নিরাপত্তা গোয়েন্দারা বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করছেন।সফরকারী দলটি ঢাকা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সচক্ষে খুঁটিয়ে দেখবেন।
সম্প্রতি সন্ত্রাসীদের পেতে রাখা বোমায় মিশরের শারম আল শেখ বিমান বন্দর থেকে উড়ে যাওয়া একটি রুশ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর ব্রিটেনের পরিবহন দপ্তর বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য কিছু দেশকে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাড়াতে তাগাদা দিচ্ছে।
বিশেষ করে যে সব দেশ থেকে ব্রিটেনে সরাসরি বিমান যায়, সেসব দেশের ওপর তারা নজর দিচ্ছে।
শারম আল শেখের ঐ ঘটনার প্রায় পরপরই ব্রিটেনের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করে যাত্রী ও ব্যাগেজ পরীক্ষা সহ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাড়াতে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব দেয়।
ব্রিটেনের একজন দূত বিষয়টি নিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সাথেও সেসময় কথা বলেন।
ঢাকায় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেগুলোর বাস্তবায়নের অগ্রগতি সচক্ষে দেখতে এসেছেন ব্রিটিশ গোয়েন্দারা।
বেসামরিক বিমান মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন গত সপ্তাহে বিবিসিকে জানান, ব্রিটেন ঢাকা বিমানবন্দরে লোকজনের যাওয়া-আসা, ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং, বিস্ফোরক চিহ্নিত করার ব্যবস্থা ও বিমানে খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় নিরাপত্তার মতো বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
মি. মেনন বলেন, ব্রিটেন উদ্বেগ জানানোর পর বিমান বন্দরের নিরাপত্তায় বেশ কিছু বাড়তি কড়াকড়ি করা হচ্ছে।
তিনি জানান, যাত্রীদের চেক ইনের সময় এখন বেল্ট, ঘড়ি বা জুতো খুলতে বলা হচ্ছে। স্ক্যানিং যন্ত্রসহ বিস্ফোরকের সন্ধানে ডগ স্কোয়াড ব্যাবহার করা হচ্ছে।
এছাড়া, মন্ত্রী জানান, ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং এর সাথে যারা জড়িত তাদের ব্যাপারে গোয়েন্দা ও পুলিশের ক্লিয়ারেন্স নেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন ভিভিআইপি যাত্রীদের বিদায় বা স্বাগত জানাতে যেন বেশি মানুষকে বিমানবন্দরে ঢুকতে দেওয়া না হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন