বাংলাদেশে ফেইসবুকের দুই কর্মকর্তার সাথে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ফেসবুক খোলার ব্যাপারে তারা খুব শিগগীরই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন।
আজ ঢাকায় সরকারের তিন মন্ত্রীর সাথে বৈঠক হয় ভারত থেকে আসা ফেইসবুকের দক্ষিণ এশিয়া পলিসি ম্যানেজার ও আইন বিষয়ক একজন উপদেষ্টার।এর পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে আমাদের কি প্রয়োজন তা আমরা ফেসবুক কর্মকর্তাদের বলেছি এবং তারা এ ক্ষেত্রে কতটা সহযোগিতা করবেন তা জানিয়েছেন।"
"আমরা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো এবং খুব শিগগীর তা জানানো হবে।"
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ফেসবুকের প্রতিনিধিদলটিকে বলা হয়েছে যে এই জনপ্রিয় মাধ্যমটির অনেক রকম অপব্যবহার হচ্ছে, এতে অনেক প্রোপাগ্যান্ডা হচ্ছে। "জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কিছু প্রশ্ন নিয়েও তাদের সাথে কথা হয়েছে" - বলেন মি খান।
"সব বিষয় নিয়েই অত্যন্ত ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে" - এ ছাড়া আর বেশি কিচু বলতে চান নি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠকে বাংলাদেশের আরও যে দুই মন্ত্রী ছিলেন তারা হলেন টেলিকম প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সরকারের গোয়েন্দা বাহিনীগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারাও সেখানে ছিলেন।
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির আদেশ বহাল রেখে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ রায় দেবার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিটিআরসি এই নির্দেশ জারি করে।
ঐদিনই দেশের সব মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ফেইসবুক, ফেইসবুক মেসেঞ্জার, ভাইবার এবং হোয়াটসএ্যাপ সেবা অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়।
সরকার তখন বলেছিলও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং নিরাপত্তার স্বার্থে তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন