বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা মাগুরার মধুমতি নদীতে একটি মিঠা পানির কুমির পাওয়া গেছে।
একসময় দেশের খাল-বিল-নদীতে এই কুমিরের বসবাস থাকলেও, অন্তত অর্ধ শতাব্দী ধরে কোথাও এই কুমির দেখা যায়নি।খুলনা বিভাগীয় বন দপ্তরের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তা জাহিদুল কবির বিবিসিকে জানিয়েছেন, ২৩শে অক্টোবর মাগুরার মধুমতি নদীতে কুমিরটি একজনের ওপর চড়াও হয়।
পরে গ্রামবাসীরা সেটিকে ধরে স্থানীয় পুলিশের কাছে দিয়ে আসে।
কুমিরটিকে এখন সুন্দরবনের করমজল এলাকায় কুমির প্রজনন কেন্দ্রে নিয়ে রাখা হয়েছে।
শেষ দেখা যায় ৬২তে
জাহিদুল কবির জানান, ১৯৬২ তে শেষবার বাংলাদেশে এই কুমির দেখা গেছে বলে তাদের কাছে রেকর্ড আছে।
দু'হাজার সালে বাংলাদেশে এই প্রজাতির কুমির বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
শুধুমাত্র বাগেরহাটের খানজাহান আলীর দরগার দিঘিতে কালা-পাহাড় এবং ধলা-পাহাড় নামে এই প্রজাতির দুটো কুমির ছিল যেগুলোও এখন নেই।
ফলে, মি কবির বলেন, এতদিন পর নদীতে এই কুমিরের সন্ধান লাভ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা। তার মতে, বিলুপ্ত এই প্রজাতিটিকে আবারো সংরক্ষণের একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে।
মাগুরার মধুমতিতে আটক কুমিরটি পুরুষ। ঐ এলাকায় আরো এরকম কুমির রয়েছে কিনা তা দেখতে বন কর্মকর্তারা খুব শীঘ্রই সেখানে যাবেন।
"একটি নারী কুমির পাওয়া গেলে, আলাদা জায়গায় প্রজনন সম্ভব। পরে চলন বিল বা সিলেটের কিছু হাওর সংরক্ষণ করে সেখানে ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে।"
বিপজ্জনক প্রাণী?
মধুমতি নদীতে পাওয়া এই প্রজাতির কুমির মানুষের জন্য কতটা বিপজ্জনক?
এই প্রশ্নে, জাহিদুল কবির বলেন, কাছাকাছি গেলে বা বিরক্ত করলে এগুলো আক্রমণ করতে পারে।
একসময় বাংলাদেশের বহু খালে বিলে নদীতে মিঠা পানির কুমির হর-হামেশাই চোখে পড়তো।
জাহিদুল কবির জানান, মাছ শিকার বেড়ে যাওয়ায় জালে বেঁধে এগুলো মারা পড়তে থাকে। কালে তা বিলুপ্ত হয়ে যায়। bbc
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন