ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, ইরানের প্রধান শত্রু আমেরিকা। আজ (মঙ্গলবার) রাজধানী তেহরানে ছাত্রদের এক সমাবেশে এ কথা বলেছেন তিনি।
আগামীকাল ফার্সি বছরের অবন মাসের ১৩ তারিখ। ১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লবের বিজয়ের পর ওই বছরেরই ১৩ অবন বা ৪ নভেম্বর ‘গুপ্তচরবৃত্তির আখড়া’ নামে পরিচিত মার্কিন দূতাবাস দখল করে নেন ইরানের বিপ্লবী ছাত্ররা। প্রতি বছর ইরান দিনটিকে ‘বিশ্ব বলদর্পী বিরোধী লড়াই দিবস’ হিসেবে পালন করে। এ দিবসের আগে ছাত্রদের সাক্ষাৎ দেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা।
ছাত্র সমাবেশে সাবেক ইরানি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মোসাদ্দেকের বিরুদ্ধে ১৯৫৩ সালের মার্কিন সমর্থিত সামরিক অভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করেন সর্বোচ্চ নেতা। তিনি বলেন, ইরানের তেলশিল্প জাতীয়করণের পর আমেরিকাকে বিশ্বাস করে ভুল করেছিলেন মোসাদ্দেক।
তিনি ছাত্রদেরকে মার্কিন দূতাবাস থেকে উদ্ধার করা দলিলপত্র খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দূতাবাস দখল করার পর ছাত্ররা বুঝতে পেরেছিল, ওটি ছিল ‘গুপ্তচরবৃত্তির আখড়া।’
সর্বোচ্চ নেতা বলেন, সত্যি কথাটি হলো, ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন দুরভিসন্ধির কোনো পরিবর্তন হয় নি। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানকে ধ্বংস করার সুযোগ পেলে তারা এক মুহূর্তও তা নষ্ট করবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে তারা সে সুযোগ কোনোদিনই পাবে না।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, আমেরিকা ধীরে ধীরে বুঝতে পারছে ইরানি জনগণের প্রতিরোধ ক্ষমতার উৎস হচ্ছে ইসলামের প্রতি তাদের অবিচল বিশ্বাস। তাই আজ নতুন অস্ত্র নিয়ে এ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে হামলা করতে চায় ওয়াশিংটন।
এ ছাড়া, আমেরিকা ধ্বংস হোক বলে যে শ্লোগান দেয়া হয় তারও ব্যাখ্যা দেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা। তিনি বলেন, এ শ্লোগানে প্রজ্ঞা এবং যুক্তির পরিচয় মিলেছে। এ শ্লোগানের মাধ্যমে মার্কিন জনগণের ধ্বংস কামনা না করে বরং মার্কিন সরকারের সাম্রাজ্যবাদী নীতির ধ্বংস কামনা করা হয়।
somoyerkonthosor
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন