বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৫

প্রকাশক হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জুড়ে হরতাল শুরু

 
    মিছিল                 একের পর এক লেখক-ব্লগার হত্যার প্রতিবাদে ঢাকার রাজপথে মিছিল - ফাইল ছবি                
 
বাংলাদেশে কিছুক্ষণ আগে শুরু হয়েছে আধাবেলার হরতাল কর্মসূচি।
ঢাকায় একজন পুস্তক প্রকাশককে হত্যা এবং আরেকজন প্রকাশক সহ তিনজনকে কুপিয়ে আহত করার প্রতিবাদ জানাতে ও হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে গণজাগরণ মঞ্চের একাংশ এই হরতালের ডাক দেয়।
রাজধানী ঢাকা সহ সারা দেশে সকাল ছয়টা থেকে আধাবেলার হরতাল কর্মসূচি শুরু হয়।
ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বাধীন গণজাগরণ মঞ্চের অংশটি হরতালের ডাক দেয় একজন প্রকাশকের হত্যাকারী ও আরও এক প্রকাশক সহ তিনজনের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে।
গত শনিবার ঢাকায় প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়, আর আলাদা আরেকটি ঘটনায় কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয় আরেক প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুল সহ তিনজনকে।
পুলিশ দুটো ঘটনার জন্যে দায়ী কাউকে এখনো শনাক্ত করতে পারেনি, যদিও একটি জঙ্গি গোষ্ঠী এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে।
গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হরতাল চলবে বেলা ১২টা পর্যন্ত।
পুলিশের তদন্ত                                         বেশীরভাগ ব্লগারদের হত্যার ঘটনায় পুলিশ তদন্তের ক্ষেত্রে খুব বেশী অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি বলে সমালোচনা রয়েেছ - ফাইল ছবি                
আর সে কারণে সোমবারের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষা বেলা ২টায় শুরু হবে বলে সরকারীভাবে জানানো হয়েছে।
জেল হত্যা দিবসের দিনে গণজাগরণ মঞ্চের এই হরতাল কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মি. সরকার বলেন, প্রতিবাদের হরতালের মাধ্যমে জেল হত্যা দিবস পালনের জন্যে তিনি দেশের সবার প্রতি আহবান জানাচ্ছেন।
১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে তৎকালীন চারজন শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল এবং নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি জেল হত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়।
হরতালের ডাক দেয়ার আগে হামলাকারীদের গ্রেফতারে সরকারকে সোমবার পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছিল গণজাগরণ মঞ্চ।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামলাকারীদের ধরার জন্যে চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পরে দুটো আলাদা মামলা হয়েছে, তবে মামলাগুলোতে আসামী হিসেবে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন