বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামে একটি সংগঠনের নাম দিয়ে হুমকি সম্বলিত ইমেইল পাঠানোর পর দেশটির পুলিশ বলছে, এই হুমকিকে তারা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে এবং গোয়েন্দারা এখন এই ইমেইলের সত্যতা নিরূপণ ও করণীয় ঠিক করতে কাজ করছে।
সোমবারই ‘সকল গণমাধ্যমের প্রতি খোলা চিঠি এবং হুঁশিয়ারি বার্তা’ শিরোনামের ওই ইমেইলটি পায় বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদপত্র ও অনলাইন সংবাদমাধ্যম যেখানে সংবাদমাধ্যমগুলোকে জঙ্গীবাদবিরোধী খবর প্রচার না করতে এবং নারী সংবাদকর্মীদেরকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়াসহ ছয়টি নির্দেশনার কথা তুলে ধরা হয়। এবং এই নির্দেশনা না মানলে সংবাদমাধ্যম সংশ্লিষ্টদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।আনসারুল্লাহ বাংলা বিডি অ্যাট জিমেইল ডট কম, এই ঠিকানা থেকে ইমেইলটি যায় দুই ডজনেরও বেশি সংবাদপত্র ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমের ইমেইল ঠিকানায়।
ইমেইলে যে ছয়টি দাবির কথা বলা হয়, তার প্রথমটিতেই উল্লেখ করা হয় কোনো নারী সংবাদকর্মী সংবাদমাধ্যমে কাজ করতে পারবে না।
অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টি ফোর ডট কমের বার্তা সম্পাদক গাজী নাসিরউদ্দিন আহমেদ বলছেন, ইমেইলটি পাওয়ার পর তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন, পুলিশকে জানিয়েছেন এবং কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
তবে সব সংবাদমাধ্যমই যে চিঠিটিকে গুরুত্বের সাথে নিয়েছে তেমনটি নয়।
দৈনিক মানবজমিনের বার্তা সম্পাদক কাজল ঘোষ বলছেন, গণমাধ্যমকর্মীদের অনেক ঝুঁকির মধ্যে কাজ করতে হয়। ফলে এই ইমেইলটিকে আলাদাভাবে দেখছেন না তারা।
তাছাড়া এই ইমেইলটির সত্যতা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন মি. ঘোষ।
তবে পুলিশ বলছে তারা এই হুমকিটিকে যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে দেখছে।
ঢাকায় পুলিশের মুখপাত্র মুনতাসিরুল ইসলাম বলছেন, গোয়েন্দারা ইমেইলটির সত্যতা নিরূপণ এবং উৎস সন্ধানের কাজ করছেন।
তাছাড়া এ সম্পর্কিত করণীয়ও তারা ঠিক করার প্রক্রিয়ায় রয়েছেন।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে বাংলাদেশে সম্প্রতি আততায়ীদের হাতে নিহত একাধিক ব্লগার ও লেখক হত্যাকান্ডের ঘটনায় এই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের হাত রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
এর মধ্যে অভিজিৎ রায়, অনন্ত বিজয় দাশ প্রমুখ ব্লগার হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরপরই দায়িত্ব স্বীকার করে বার্তা প্রচার করেছিল আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামে এই নিষিদ্ধ সংগঠনটি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন