ভারতে দিল্লির এক আদালত উবার কোম্পানির এক ট্যাক্সিচালক শিব কুমার ইয়াদবকে এক মহিলা ট্যাক্সি আরোহীকে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
তাকে ভীতিপ্রদর্শন ও অপহরণের অভিযোগেও আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছে। মিঃ ইয়াদব নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছিল।শুক্রবার তার সাজা ঘোষণা করা হবে।
ধর্ষণের শিকার ২৬ বছরের তরুণী গত ডিসেম্বর মাসে বাসায় ফেরার জন্য ওয়েব ভিত্তিক ট্যাক্সি কোম্পানি উবার থেকে একটি ট্যাক্সি বুক করেছিলেন।
ট্যাক্সিচালক তাকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে।
এই ঘটনার পর দিল্লিতে উবার এবং অন্যান্য ওয়েব ভিত্তিক কোম্পানির ট্যাক্সি সেবা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এই সব সংস্থার বিরুদ্ধে চালকদের সম্পর্কে যথেষ্ট খোঁজখবর না নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
উবার ট্যাক্সি কোম্পানি ওই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছিল এবং তাদের ''খোঁজখবর নেওয়ার প্রক্রিয়া আরো জোরদার করা উচিত'' বলে স্বীকার করেছিল।
উবার ইন্ডিয়ার সভাপতি অমিত জৈন আজ আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন।
''যৌন হয়রানি একটা জঘন্য অপরাধ এবং এ ঘটনার ন্যায় বিচার হওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট।''
''নিরাপত্তার বিষয়টি উবার-এর কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওই দুঃখজনক ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা এক্ষেত্রে অনেক উন্নতি এনেছি। নতুন প্রযুক্তি আমরা ব্যবহার করছি, আমরা চালকদের সম্পর্কে ব্যাপকভাবে খোঁজখবর নিয়ে তাদের নিয়োগ করছি এবং ব্যবহারকারীদের আমরা সাতদিন চব্বিশ ঘন্টা সেবার ব্যবস্থা করেছি।''
উবার প্রতিষ্ঠান ভারতের অন্যান্য শহরে এখনও ট্যাক্সি সেবা দিচ্ছে এবং দিল্লিতে সেবা দেওয়ার জন্য সংস্থাটি আনুষ্ঠানিক লাইসেন্সের আবেদন করেছে।
ধর্ষণের শিকার তরুণী যুক্তরাষ্ট্রের আদালতেও এই ঘটনার জন্য মূল উবার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন, যে মামলা আদালতের বাইরে নিষ্পত্তি করা হয়েছিল।
প্রায় তিন বছর আগে ডিসেম্বর ২০১২-য় দিল্লির একটি বাসে ২৩ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার পর থেকে ভারতে যৌন নির্যাতনের বিষয়টি সামনে আসে।
ওই ঘটনায় বিশ্ব জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় এবং যৌন সহিংসতা নিয়ে ভারতে আইন আরও কঠোর করার দাবিতে প্রচুর আন্দোলন ও বিক্ষোভ হয়।
bbc
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন