ভারতে গত কিছুদিন ধরে গো হত্যা বা গরুর মাংস খাওয়া নিয়ে যেসব সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তার পেছনের কারণ আসলে রাজনীতি।
কয়েকটি প্রদেশে নির্বাচনকে সামনে রেখে ইস্যুটিকে ব্যাবহার করা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শান্তনু চক্রবর্তী বলছেন, বিহারে বা উত্তর প্রদেশে নির্বাচন আসছে।
সেটিকে সামনে রেখে জাতিগত পার্থক্যকে রাজনৈতিক কারণে ব্যাবহার করা হচ্ছে।
তার মতে স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা অনেকসময় ভোটে লাভ হবে ভেবে এটিকে ইস্যু করেন।
তিনি বলছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিষয়ে নীরব রয়েছেন কারণ তিনি এমন কিছু করবেন না যাতে শাসক দলের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ে।
মিডিয়াতে বা শহরাঞ্চলের মানুষজন বিষয়টির সমালোচনা করছে তবে যেসব গ্রামাঞ্চলে এসব ঘটনা ঘটছে সেখানে তার তেমন কোন প্রভাব পড়ছে না বলে মনে করছেন মি চক্রবর্তী।
শুক্রবার ভারতের উত্তর প্রদেশে গরু হত্যার অভিযোগে দুজন মুসলিম ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনায় ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
দুজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে গরু জবাইয়ের গুজব ছড়িয়ে পড়লে এই ঘটনা ঘটে।
এর আগে এ সপ্তাহের শুরুতে কাশ্মীরে একজন সংসদ সদস্য তার নিজস্ব পার্টিতে গরুর মাংস পরিবেশন করেছেন এমন অভিযোগে অধিবেশন চলাকালে তাকে মারধর করে ক্ষমতাসীন বিজেপি দলের সদস্যরা।
এসব ঘটনার দু’সপ্তাহ আগে একই গুজবে হিন্দুত্ববাদীরা ৫০ বছর বয়সী এক মুসলিমকে পিটিয়ে হত্যা করে।
ভারতে সাম্প্রতিক সময়ের এ ধরনের ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার প্রতিবাদে বেশ কয়েকজন খ্যাতিমান লেখক তাদের রাষ্ট্রীয় পদক ফিরিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
bbc bangla
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন