বাংলাদেশের কারাবন্দীদের স্বাভাবিক জীবনে প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকটি কাজের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ, যার মাধ্যমে মুক্তির পর এই বন্দিরা চাহিদা রয়েছে, এমন পেশায় নিয়োজিত হতে পারবে।
কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় এরমধ্যেই দুহাজারের বেশি কারাবন্দীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার একটি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশের কারাগার গুলোয় ৩৪ হাজার বন্দির ধারণ ক্ষমতা থাকলেও, এখন বন্দি রয়েছে ৭৫ হাজারের বেশি।
যদিও এদের মাত্র এক তৃতীয়াংশ সাজাপ্রাপ্ত বা কয়েদি।
কারাগার থেকে মুক্তির পর স্বাভাবিক জীবনে খাপ খাইয়ে নিতে, কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার সহায়তা, এই কয়েদিদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
কারাগারে থাকার সময় প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছেন, কথা হচ্ছিল এমন কয়েকজনের সঙ্গে।
কয়েকমাস আগে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসা একজন নারী বলছিলেন, “তের বছর নয় মাস কারাগারে থাকার পর্ আমি বেরিয়ে এসেছি। সেখানেই আমি সেলাই এর প্রশিক্ষণ পেয়েছিলাম”।
তিনি জানান কারাগারেই কাজ করে তিনি যে টাকা পেতেন, তাতে তার মেয়ের খরচ হয়ে যেত। এরপর বেরিয়ে এসে গ্রামে সেলাই কাজ শুরু করেন তিনি।
“এখন আমার আয়ে আমার পরিবার চলে যায়।”
আরেকজন বলছিলেন, প্রথমে কারাগারে যাবার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু প্রশিক্ষণের বিষয়টি জানার পর তিনি বিউটি পার্লারের প্রশিক্ষণ নেন। এখন একটি বিউটি পার্লারে কাজ করছেন। ভালোই আছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই সাবেক কয়েদিরা বলছেন, এসব প্রশিক্ষণের ফলে চাকুরী আর ব্যবসায় ঋণ পাওয়াটা তাদের জন্য সহজ হয়েছে। কারাগারে বরাবরই সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে।
কিন্তু প্রচলিত প্রশিক্ষণের সাথে নতুন এই উদ্যোগের কি পার্থক্য? জিজ্ঞেস করেছিলাম কারা মহাপরিদর্শক ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীকে।
জবাবে মি. চৌধুরী বলেন, আগে প্রশিক্ষিত প্রশিক্ষক ছিল না। বন্দিরাই শেখাতেন। কিন্তু এখন বেসরকারি সংস্থাগুলোর সহায়তা প্রশিক্ষিতরা তাদের প্রশিক্ষণ দেন।
তিনি জানান যেসব কাজের চাহিদা রয়েছে, সেগুলোই তাদের শেখানো হয়। এরফলে তারা কারাগার থেকে বেরিয়ে সহজেই চাকরি পান। আবার এসব প্রশিক্ষণের সনদে কারাগারে কোন ছাপ না থাকায় তাদের কোন সমস্যাও হয়না।
তবে কারাগার গুলোয় প্রায় পঁচিশ হাজারের বেশি কয়েদি থাকলেও, এ পর্যন্ত আড়াই হাজার বন্দিকে প্রশিক্ষণ দেয়া সম্ভব হয়েছে। তাদের সবাই যে খুব সহজেই স্বাভাবিক জীবনে মিশে যেতে পেরেছেন এমনও নয়।
তবে উদ্যোক্তা একটি সংস্থার পরামর্শক তাহেরা ইয়াসমিনের মতে, উদ্যোগটি পুরোপুরি সফল করতে সময় দিতে হবে।
তিনি বলেন, “সবাই যে বেরিয়েই কাজ পাচ্ছেন বলা যাবে না। এটা এত তাড়াতাড়ি সম্ভবও না। কিন্তু যারা কাজ পাচ্ছেন, সেটাই আশা তৈরি করার জন্য যথেষ্ট। কোন রেকর্ড না থাকায় বলা সম্ভব না যে,কতজন কাজ পেয়েছেন বা পাননি। তবে সাবেক বন্দিদের পুনর্বাসনে পরিবার আর সমাজের উদ্যোগ জরুরী”।
সাবেক একজন কারাবন্দী বলছিলেন, “প্রথম তিনি যখন কাজে যোগ দেন, অনেকেই অনেক কথা বলেছে। মিশতে চায়নি, বিশ্বাস করতে চায়নি। কিন্তু আস্তে আস্তে তাদের ধারণা পাল্টেছে। এখন আর কোন সমস্যা হয়না”।
এসব চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে কর্মস্থলেই অনেক বন্ধু হয়েছে একটি বিউটি পার্লারের এই কর্মীর। এখন তিনি স্বপ্ন দেখছেন, একদিন নিজেরই একটি বিউটি পার্লার হবে আর সেখানে নিয়োগ দিয়ে তিনি তার মতো অনেককে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে পারবেন।
বাংলাদেশের কারাগার গুলোয় ৩৪ হাজার বন্দির ধারণ ক্ষমতা থাকলেও, এখন বন্দি রয়েছে ৭৫ হাজারের বেশি।
যদিও এদের মাত্র এক তৃতীয়াংশ সাজাপ্রাপ্ত বা কয়েদি।
কারাগার থেকে মুক্তির পর স্বাভাবিক জীবনে খাপ খাইয়ে নিতে, কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার সহায়তা, এই কয়েদিদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
কারাগারে থাকার সময় প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছেন, কথা হচ্ছিল এমন কয়েকজনের সঙ্গে।
কয়েকমাস আগে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসা একজন নারী বলছিলেন, “তের বছর নয় মাস কারাগারে থাকার পর্ আমি বেরিয়ে এসেছি। সেখানেই আমি সেলাই এর প্রশিক্ষণ পেয়েছিলাম”।
তিনি জানান কারাগারেই কাজ করে তিনি যে টাকা পেতেন, তাতে তার মেয়ের খরচ হয়ে যেত। এরপর বেরিয়ে এসে গ্রামে সেলাই কাজ শুরু করেন তিনি।
“এখন আমার আয়ে আমার পরিবার চলে যায়।”
আরেকজন বলছিলেন, প্রথমে কারাগারে যাবার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু প্রশিক্ষণের বিষয়টি জানার পর তিনি বিউটি পার্লারের প্রশিক্ষণ নেন। এখন একটি বিউটি পার্লারে কাজ করছেন। ভালোই আছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই সাবেক কয়েদিরা বলছেন, এসব প্রশিক্ষণের ফলে চাকুরী আর ব্যবসায় ঋণ পাওয়াটা তাদের জন্য সহজ হয়েছে। কারাগারে বরাবরই সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে।
কিন্তু প্রচলিত প্রশিক্ষণের সাথে নতুন এই উদ্যোগের কি পার্থক্য? জিজ্ঞেস করেছিলাম কারা মহাপরিদর্শক ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীকে।
জবাবে মি. চৌধুরী বলেন, আগে প্রশিক্ষিত প্রশিক্ষক ছিল না। বন্দিরাই শেখাতেন। কিন্তু এখন বেসরকারি সংস্থাগুলোর সহায়তা প্রশিক্ষিতরা তাদের প্রশিক্ষণ দেন।
তিনি জানান যেসব কাজের চাহিদা রয়েছে, সেগুলোই তাদের শেখানো হয়। এরফলে তারা কারাগার থেকে বেরিয়ে সহজেই চাকরি পান। আবার এসব প্রশিক্ষণের সনদে কারাগারে কোন ছাপ না থাকায় তাদের কোন সমস্যাও হয়না।
তবে কারাগার গুলোয় প্রায় পঁচিশ হাজারের বেশি কয়েদি থাকলেও, এ পর্যন্ত আড়াই হাজার বন্দিকে প্রশিক্ষণ দেয়া সম্ভব হয়েছে। তাদের সবাই যে খুব সহজেই স্বাভাবিক জীবনে মিশে যেতে পেরেছেন এমনও নয়।
তবে উদ্যোক্তা একটি সংস্থার পরামর্শক তাহেরা ইয়াসমিনের মতে, উদ্যোগটি পুরোপুরি সফল করতে সময় দিতে হবে।
তিনি বলেন, “সবাই যে বেরিয়েই কাজ পাচ্ছেন বলা যাবে না। এটা এত তাড়াতাড়ি সম্ভবও না। কিন্তু যারা কাজ পাচ্ছেন, সেটাই আশা তৈরি করার জন্য যথেষ্ট। কোন রেকর্ড না থাকায় বলা সম্ভব না যে,কতজন কাজ পেয়েছেন বা পাননি। তবে সাবেক বন্দিদের পুনর্বাসনে পরিবার আর সমাজের উদ্যোগ জরুরী”।
সাবেক একজন কারাবন্দী বলছিলেন, “প্রথম তিনি যখন কাজে যোগ দেন, অনেকেই অনেক কথা বলেছে। মিশতে চায়নি, বিশ্বাস করতে চায়নি। কিন্তু আস্তে আস্তে তাদের ধারণা পাল্টেছে। এখন আর কোন সমস্যা হয়না”।
এসব চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে কর্মস্থলেই অনেক বন্ধু হয়েছে একটি বিউটি পার্লারের এই কর্মীর। এখন তিনি স্বপ্ন দেখছেন, একদিন নিজেরই একটি বিউটি পার্লার হবে আর সেখানে নিয়োগ দিয়ে তিনি তার মতো অনেককে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে পারবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন