শুক্রবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৫

চে গুয়েভারার আজ ৪৮তম প্রয়াণ দিবস

চে গুয়েভারার আজ ৪৮তম প্রয়াণ দিবস

‘চে তোমার মৃত্যু আমাকে অপরাধী করে দেয়/ আমার ঠোঁট শুকনো হয়ে আসে, বুকের ভেতরটা ফাঁকা/ আত্মায় অবিশ্রান্ত বৃষ্টিপতনের শব্দ/ শৈশব থেকে বিষণ্ন দীর্ঘশ্বাস.../ বলিভিয়ার জঙ্গলে নীল প্যান্টালুন পরা/ তোমার ছিন্নভিন্ন শরীর/ তোমার খোলা বুকের মধ্যখান দিয়ে/ নেমে গেছে/ শুকনো রক্তের রেখা...।’ কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘চে গুয়েভারার প্রতি’ এই কবিতায় সশ্রদ্ধ উচ্চারণের মত সারা বিশ্বের লক্ষ, কোটি মানুষের চে’র স্মরণে মাথা নত হয়ে আসে।
 
কিউবা বিপ্লবের মহানায়ক চে গুয়েভারার আজ ৪৮তম মৃত্যুদিবস। বিপ্লবের অগ্নিপুরুষ হিসাবে, গেরিলা নেতা হিসাবে বিশ্বজুড়ে তার নাম ধ্বনিত হয়। এই মহান বিপ্লবীর জন্ম ১৯২৮ সালের ১৪ জুন। কিউবায় ফিদেল কাস্ট্রোর সঙ্গে সফল বিপ্লবের পর চে বলিভিয়ায় গিয়েছিলেন আরেকটি বিপ্লবের প্রত্যয় নিয়ে। সেখানে তিনি সি আই এ (সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি) মদদপুষ্ট বলিভিয়ান বাহিনীর কাছে ধরা পড়েন। ১৯৬৭ সালের ৯ই অক্টোবর, বলিভিয়ার শহর লা হিগুয়েরাতে বলিভিয়ার সেনাবাহিনী তার মৃত্যদণ্ড কার্যকর করে। তার পুরো নাম ‘এর্নেস্তো গেভারা দে লা সেরনা’। জন্মসূত্রে চে আর্জেন্টিনার নাগরিক। পেশায় ছিলেন একজন ডাক্তার। তিনি ফিদেল কাস্ত্রোর দলে চিকিত্সক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি অনুকরণীয় এক বিপ্লবীতে পরিণত হন।
 
তার মৃত্যুর বহু বছর পরেও টাইম পত্রিকার বিংশ শতাব্দীর সর্বাপেক্ষা প্রভাবশালী ১০০ জন ব্যক্তির তালিকায় তার নাম প্রকাশিত হয়। গুয়াতেমালার রাষ্ট্রপতি জাকোবো আরবেনজ গুজমানের নেতৃত্বাধীন গুয়াতেমালার সামাজিক সংস্কার আন্দোলনে তরুণ বয়সে তিনি জড়িয়ে পড়েন। ১৯৫৪ সালে সিআইএ-এর ষড়যন্ত্রে গুজমানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হলে চে-র বৈপ্লবিক আদর্শ চেতনা বদ্ধমূল হয়। কিউবার বিপ্লবের সফল নায়কদের অন্যতম গেরিলা চে দেশটির পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

ইত্তেফাক

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন