‘জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন দখলদারদের পক্ষ নিচ্ছে। যারা নদী রক্ষা করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত তারা কাজটি ঠিকভাবে করছে না। নদী রক্ষা কমিশন নদী রক্ষা না করলেও আমরা ঘরে বসে থাকবো না। হবিগঞ্জের সোনাই নদী রক্ষা করা না গেলে অন্য নদীগুলোও দখল হয়ে যাবে। এই নদী দখলমুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) আয়োজনে সোনাই নদী দখলদার মুক্ত করার দাবিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাপার সহ-সভাপতি রাশেদা কে চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন— মানবাধিকার কর্মী ও পরিবেশ আন্দোলনের নেত্রী খুশি কবির, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সি এম তোফায়েল সামি, রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাপার ড: আবদুল মতিন প্রমুখ। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাপার যুগ্ম সম্পাদক শরীফ জামিল।
রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের অবস্থান প্রকৃতি-নদী ও দেশের পক্ষে। দেশে আইন আছে কিন্তু সোনাই নদীর ক্ষেত্রে আমরা লক্ষ্য করছি তা ভঙ্গ করা হচ্ছে। যাদের ওপর দায়িত্ব ছিল সোনাই নদীর মধ্যখানে সায়হাম ফিউচার কমপ্লেক্স নির্মাণকে প্রতিহত করার, অথচ তারা তা করছে না।’
তিনি বলেন, ‘প্রকৃতিকে দিনের পর দিন বিনষ্ট করে এমনিতেই আমরা প্রকৃতির রোষাণলে রয়েছি। প্রকৃতিকে যদি এভাবে ধ্বংস করা হয় তবে ভবিষ্যতে বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে দেশবাসীকে পড়তে হবে। তাই প্রকৃতি-পরিবেশ, নদ-নদীসমূহকে রক্ষা করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন