শুক্রবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৫

সাহিত্যে নোবেল পেলেন সেতলানা অ্যালেক্সিয়েভিচ

সাহিত্যে নোবেল পেলেন সেতলানা অ্যালেক্সিয়েভিচ

এবার সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন বেলারুশের লেখক সেতলানা অ্যালেক্সিয়েভিচ। ১৪ তম নারী হিসেবে সাহিত্যের সর্বোচ্চ সম্মাননা পেলেন তিনি। প্রায় অর্ধশত বছর পরে কোনো নন ফিকশন লেখক সাহিত্যে নোবেল জিতলেন। শুধু তাই নয় প্রথম সাংবাদিক হিসেবে এই গৌরব তিনি অর্জন করেছেন। নোবেল প্রাইজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে বলা হয়,  সেতলানা অ্যালেক্সিভিচের লেখা আমাদের সময়ের কষ্ট ও সাহসের বহুমুখী বর্ণনার স্মারক। এই পুরস্কারটি একজন জীবিত লেখককে দেওয়া হয়। সুইডিশ একাডেমির  দেওয়া এই পুরস্কারের অর্থমূল্য আট  মিলিয়ন  সুইডিশ ক্রোনোর।

বেলারুশে বেড়ে ওঠা এই সাংবাদিক ও লেখক ১৯৪৮ সালের ৩১ মে ইউক্রেনের আইভানো ফ্রাঙ্কভিস্ক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। মিনস্ক ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতায় স্নাতক অ্যালেক্সিভিচ কাজ করেছেন  বেলারুশের সেল স্কাসা গাজেত্তা পত্রিকায়। ১৯৭২ সাল থেকে সাংবাদিকতা শুরু করা অ্যালেক্সিয়েভিচ এর প্রথম বই ‘ওয়ারস আনওমেনলি ফেস’ প্রকাশিত হয় ১৯৮৫ সালে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেওয়া নারীদের সাক্ষাতকারের উপর ভিত্তি করে লিখেছেন এটি। এরপর ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সোভিয়েত রাশিয়ার সময়টা তুলে ধরেন তার ‘ভয়েসেস অব ইউটোপিয়া’ বইয়ে।

অ্যালেক্সিয়েভিচের সবচেয়ে পরিচিত ইংলিশে অনুদিত লেখাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ভয়েসেস ফ্রম চেরনোবিল’ যা চেরনোবিলে পারমাণবিক দুর্ঘটনার মৌখিক বর্ণনা। এছাড়া সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনার বিবরণ হচ্ছে ‘বয়েজ ইন জিঙ্ক’।

৬৭ বছর বয়সী অ্যালেক্সিভিয়েচ রাজনৈতিক লেখক হিসেবে পরিচিত।  নিজ দেশের সরকারের সমালোচক হিসেবে পরিচিত তিনি। স্টকহোমে সুইডিশ একাডেমির  চেয়ারপারসন সারা দানিয়াস পুরস্কার ঘোষণার সময় বলেন, অ্যালেক্সিয়েভিচ ৪০ বছর সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন নিয়ে পড়াশোনা করছেন। তার কাজ শুধু ইতিহাসের উপর নয় বরং তার লেখায় একটা চিরন্তনতার ছাপ রয়েছে। দানিয়াস জানিয়েছেন অ্যালেক্সিয়েভিচ নোবেল পাওয়ায় তিনি অনেক খুশি হয়েছেন।
 
 বিবিসি ও গার্ডিয়ান  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন