রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৫

‘নির্বাচন কমিশন চাইলে সময় বাড়াতে পারে’

 
 
    ‘নির্বাচন কমিশন চাইলে সময় বাড়াতে পারে’
 
 
 
বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপি আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনের সময়সূচিতে পরিবর্তন চাইছে এবং ভোট পেছানোসহ কিছু দাবি জানিয়ে তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি চিঠি দেবে।
বিএনপি এই নির্বাচনকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে।
এর মধ্য দিয়ে প্রায় সাত বছর পর বিএনপির একটি ভোটযুদ্ধে নামার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।
‘ধানের শীষ’ দলের প্রতীক নিয়ে বিএনপি সবশেষ ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে লড়েছিল, তবে ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচন তারা বর্জন করে।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন বিবিসিকে বলছিলেন, “সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন যদি চায় তাহলে সময়সূচির পরিবর্তন করতেই পারে”।
“কোন দল বা একাধিক দল যদি চায় তাহলে নির্বাচন কমিশন সময় পরিবর্তন করতে পারে। এতে আইনগত কোনও বাধা নেই”।
তফসিল ঘোষণা থেকে মনোনয়ন দাখিল পর্যন্ত এবার ১০ দিন সময় দেয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে এ সংক্রান্ত কাজগুলো করা কঠিন হবে কিনা এমন প্রশ্নে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাজ করা হয়তো কঠিন হবেনা।
“কিন্তু যেখানে একাধিক পদ আছে আর একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার বিষয় রয়েছে। অনেক লোককে মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য বেশি সময় দেয়া হয়। কিন্তু এই সময়টা সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের উপর নির্ভর করছে” – বলেন মি: হোসেন।
এক্ষেত্রে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুইবার সময় পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করেন সাখাওয়াত হোসেন। সেসময় সবার অংশগ্রহণে যেন নির্বাচন হয় সে লক্ষ্যেই সময় পরিবর্তন করা হয়েছিল বলে জানান মি: হোসেন।
এবার বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য কিছু শর্ত বেধে দিয়েছে ।
এ প্রসঙ্গে মি: হোসেন বলেন, “বিএনপির শর্তগুলো না মানলে নির্বাচন কমিশনের সলিড কিছু কারণ দেখাতে হবে। তবে নিজ অভিজ্ঞতা থেকে নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ তাদের উপর যেন দোষ না আসে সেভাবে যেন তারা সিদ্ধান্ত নেয়। প্রয়োজনে তারা বিএনপির সাথে আলোচনাও করতে পারে”
এই প্রথম দলীয়ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হতে যাচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন