রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৫

‘বেডরুমে কী করছি তা জানার অধিকার কারও নেই’

 
                               
ভারতের মতো দেশ যেখানে ক্রিকেট খেলা একটা ধর্মের মতো, সেই দেশে টেনিসকে জনপ্রিয় করেছেন সানিয়া মির্জা।
টেনিস ডাবলসে বিশ্বে এক নাম্বার তারকা সানিয়া মির্জা, ভারতে নারী খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় করেন।
বিবিসির হান্ড্রেড ওম্যান সিজন উপলক্ষ্যে সানিয়াম মির্জার সঙ্গে কথা বলেছেন বিবিসির ইয়োগিতা লিমায়ি।
বিবিসির সাথে আলাপকালে সানিয়া মির্জা বলেছেন, “একজন নারী হিসেবে সামনে এগুনোর জন্য সফলতা পাবার জন্য অনেক বেশি কষ্ট করতে হয়”।
“আর একজন নারী যদি সামনের দিকে এগিয়ে যায় ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবে তাহলে অনেক সময় তাকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। অনেকে বলে আরে ওতো বেশি বাইরে যাচ্ছে, ঘরের দিকে তাকাচ্ছেনা।
                 মার্টিনা হিঙ্গিস-সানিয়া মির্জা জুটি বিশ্ব টেনিসে এক নাম্বার। (ফাইল ছবি)                
“যদি কাজের ক্ষেত্রে নারী কিছু অর্জনও করে তাহলে শুনতে হয়ে সেতো ‘ওভার এমবিশাস’ হয়ে যাচ্ছে! এমনকি অনেকে এটাও বলে যে মেয়েটা বিয়ে করছেনা কেন? কবে সে মা হবে?”
“অথচ একজন পুরুষকে কিন্তু সেটা শুনতে হয়না। পুরুষকে ভালো বলা হয়, তাকে প্রশংসা করা হয়; এমনকি এগিয়ে যাবার জন্য বেশি উৎসাহ দেয়া হয়”!! – বলেন সানিয়া মির্জা।
“আমার কাছে মনে হয়েছে আমি মেয়ে বলেই আমাকে বেশি কষ্ট করতে হয়েছে। আর এটা শুধু ভারত বা নির্দিষ্ট কিছু দেশের জন্য নয়, বিশ্বের সব দেশের জন্যই এ কথাটা সত্য” ।
সানিয়া মির্জার মতে, একজন নারী যতই সফলতা পাকনা কেন সে কবে মা হবে সে প্রশ্ন বোধহয় তাকে শুনতেই হয়।
                 উইম্বলডন ফাইনালের খেলায় সানিয়া মির্জা। (ফাইল ছবি)                
এমনকি তাঁকেও এ প্রশ্ন শুনতে হয় প্রায়ই।
এ প্রসঙ্গে সানিয়া মির্জা বিবিসিকে বলেন, “এ প্রশ্নটা খুবই অসম্মানজনক। আমি যতই পাবলিক ফিগার হইনা কেন বেডরুমে আমি কী করছি তা জানার অধিকার কারও নেই। এটা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। এই প্রশ্ন যে শুধু আমি শুনেছি তা নয়, অনেক নারীউ শুনে। এমন প্রশ্ন কখনও কাউকে করা উচিত নয়”।
উইম্বলডনের এক খেলা শেষে একটি সংবাদ সম্মেলনে ‘সন্তান কবে নিচ্ছেন’ এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় সানিয়া মির্জাকে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন