রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৫

আবারও তিমি শিকারের সিদ্ধান্ত জাপানের

 
    আবারও তিমি শিকারের সিদ্ধান্ত জাপানের                         
জাপান এক ঘোষণায় জানিয়েছে তারা আগামী বছর থেকে আবারও অ্যান্টার্কটিকায় তিমি শিকার শুরু করবে।
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তিমি শিকার বন্ধ রাখার পর জাপান এ সিদ্ধান্ত নিলো।
ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) জাপানকে সব ধরনের তিমি শিকার বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পরও দেশটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জাপান সরকার জানিয়েছে, সংশোধিত নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী ছোট আকারের মিঙ্কি তিমি শিকার বছরে দুই-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনবে তারা।
অর্থাৎ আগে যেখানে এক হাজার মিঙ্কি তিমি শিকার করতো তা কমিয়ে ৩৩৩ এ নামিয়ে আনা হচ্ছে এবংআদালতের রায় বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে- বলছে জাপান কর্তৃপক্ষ।
জাপান আরও বলছে তাদের এই পরিকল্পনা বৈজ্ঞানিকভাবেই পরিমিত ও গ্রহণযোগ্য।
আবারও তিমি শিকারের সিদ্ধান্ত জাপানের
                 জাপান বলছে, তারা এখন বছরে ৩৩৩টি মিঙ্কি তিমি ধরবে, আগে যেখানে এক হাজার ধরতো। সংখ্যাটি দুই-তৃতীয়াংশে কমিয়ে আনবে তারা।
তবে এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিকভাবে ক্ষোভের জন্ম দিতে পারে।
ইতিমধ্যেই কিছু পরিবেশবাদী সংগঠন এবং অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যের সরকার এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশ মন্ত্রী গ্রেগ হান্ট বলছেন, “তথাকথিত বৈজ্ঞানিক গবেষণার অংশ হিসেবে তিমি শিকারের এই ধারণা আমরা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারিনা”।
অন্যদিকে যুক্তরাজ্য সরকার বলছে, “জাপান সরকারের আবারও তিমি শিকারের এই সিদ্ধান্তকে আমরা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছিনা। আন্তর্জাতিকভাবে যে তিমি শিকার নিষিদ্ধ এটার অবমাননা করে এ সিদ্ধান্ত”।
আর অ্যানিমেল প্রটেকশান নামের একটি সংগঠন জাপানের এমন সিদ্ধান্তে ‘হতভম্ব’ বলে টুইট করেছে।
আবারও তিমি শিকারের সিদ্ধান্ত জাপানের                            
আবারও তিমি শিকারের সিদ্ধান্ত জাপানের
                 জাপানের তিমি শিকার কর্মসূচি যে খাবারের টেবিলে এসে পৌঁছায় সেটাকে আড়াল করেনা জাপান।
১৯৮৭ সাল থেকে জাপান তিমি শিকার কর্মসূচি চালু করে।
তারপর থেকেই আন্তর্জাতিকভাবে এই কর্মসূচি সমালোচনার মুখে পড়ে।
২০১৪ সালে নেদারল্যান্ডসের ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে জাপানের বিরুদ্ধে তিমি শিকার সম্পর্কিত একটি কেইস জিতে অস্ট্রেলিয়া।
জাপানের ‘বৈজ্ঞানিক তিমি শিকার’ কর্মসূচি যে আসলে বৈজ্ঞানিক নয় এটি আদালতে রায়ে বলা হয়।
আইসিজে জাপানকে সব ধরনের তিমি শিকার বন্ধের নির্দেশ দিয়ে জানায়, দেশটি ২০০৫ সাল থেকে প্রতি বছর ৩৬০০ মিঙ্কি তিমি শিকার করে আসছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন