গতকাল শনিবার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট কনভেনশন সেন্টারে ইনসাইড এর উদ্যোগে নির্বাচনী সহিংসতা প্রতিরোধ ও শান্তি-সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে পিস অ্যাম্বাসাডারদের জাতীয় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট -সংগ্রাম
কূটনৈতিক রিপোর্টার : চলমান বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য নির্বাচন উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট। তিনি গতকাল শনিবার দুপুরে ফার্মগেট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অডিটোরিয়ামে পিস অ্যাম্বাসেডর ন্যাশনাল কনভেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।
বেসরকারি সংস্থা ‘হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ’ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে থেকে কয়েকজনকে শান্তির দূত নির্বাচন করেছে, যারা তাদের অঞ্চলে নির্বাচনী সহিংসতার বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করবেন এবং মানুষের কাছে শান্তির বার্তা নিয়ে যাবেন।
ওই শান্তির দূতদের সম্মেলন আয়োজন করে হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ। এ আয়োজনে সহযোগিতা করেছে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি, ইউকেএআইডি ও ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্টোরাল সিস্টেম (আইএফইএস)।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, নির্বাচন উপযোগী পরিবেশ করতে হয়তো আরো সময় লাগবে। তবে ধৈর্যের সঙ্গে সেটি করতে হবে। এজন্য পারস্পরিক আস্থা এবং সম্মান অর্জন জরুরি বলেও মত দেন তিনি।
বার্নিকাট বলেন, ‘একটি বহুত্ববাদী সমাজে সহিংসতা রাতারাতি শেষ হবে না। তবে সবাইকে বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়ায় একে অপরের সহনশীলতা অর্জন করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভবিষ্যত নিয়ে কাজ করতে হবে।’
মার্কিন এই রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত শক্তিশালী। এ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। যুক্তরাষ্ট্র এদেশের সমাজে বিদ্যমান বিরোধপূর্ণ সমস্যার সমাধান খুঁজে ইউএসআইডি’র মাধ্যমে কাজ করে যাবে।’
সম্মেলনে শান্তির দূতদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী সহিংসতা-সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর সমাধান রাতারাতি হবে না। কিন্তু শান্তির দূত হিসেবে সহিংসতাবিহীন ভবিষ্যৎ নির্বাচনের স্বপ্ন দেখার মাধ্যমে সমাজে আপনারা ইতিবাচক উদাহরণ হয়ে থাকবেন।’
মার্কিন লোকগায়ক পিট সিগারকে উদ্ধৃত করে বার্নিকাট বলেন, যে মানুষ একমত হচ্ছেন না, তার সঙ্গে কথা বলতে শিখতে পারা খুব গুরুত্বপূর্ণ। একুশ শতকে এই যোগ্যতাটা হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আস্থা ও সম্মান অর্জন করতে ভিন্নমতের প্রতি সহনশীলতা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জিএম কাদের বলেন, ‘বিরোধ নিষ্পত্তিতে দরকার শান্তিপূর্ণ আলোচনা। আর সেটির জন্য গণতান্ত্রিক সরকার প্রয়োজন। এখন যারা ক্ষমতায়, তারা ওই অর্থে গণতান্ত্রিক সরকার নয়।’
তিনি বলেন, গণতন্ত্র একেক দেশে একেকভাবে চর্চা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ভারত একেক দেশে একেকভাবে গণতন্ত্র কাজ করে। কিন্তু গণতন্ত্রের মূল কথা হলো, রাষ্ট্রের সব ক্ষমতার মালিক হচ্ছে জনগণ। যেভাবেই গণতন্ত্রের চর্চা হোক না কেন, এই নীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের পরিচালক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘বহুত্ববাদী সমাজে বিরোধ থাকবে। কিন্তু সেটা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।’
বদিউল আলম বলেন, ‘আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে দেশকে স্বাধীন করেছি। কিন্তু দেশ আজ বিভক্ত। আমরা একে অন্যের সঙ্গে সহিংসতায় লিপ্ত। যারা এই সহিংসতায় লিপ্ত, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে দুর্বৃত্তদের রুখে দাঁড়াতে হবে।’
বেসরকারি সংস্থা ‘হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ’ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে থেকে কয়েকজনকে শান্তির দূত নির্বাচন করেছে, যারা তাদের অঞ্চলে নির্বাচনী সহিংসতার বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করবেন এবং মানুষের কাছে শান্তির বার্তা নিয়ে যাবেন।
ওই শান্তির দূতদের সম্মেলন আয়োজন করে হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ। এ আয়োজনে সহযোগিতা করেছে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি, ইউকেএআইডি ও ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্টোরাল সিস্টেম (আইএফইএস)।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, নির্বাচন উপযোগী পরিবেশ করতে হয়তো আরো সময় লাগবে। তবে ধৈর্যের সঙ্গে সেটি করতে হবে। এজন্য পারস্পরিক আস্থা এবং সম্মান অর্জন জরুরি বলেও মত দেন তিনি।
বার্নিকাট বলেন, ‘একটি বহুত্ববাদী সমাজে সহিংসতা রাতারাতি শেষ হবে না। তবে সবাইকে বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়ায় একে অপরের সহনশীলতা অর্জন করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভবিষ্যত নিয়ে কাজ করতে হবে।’
মার্কিন এই রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত শক্তিশালী। এ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। যুক্তরাষ্ট্র এদেশের সমাজে বিদ্যমান বিরোধপূর্ণ সমস্যার সমাধান খুঁজে ইউএসআইডি’র মাধ্যমে কাজ করে যাবে।’
সম্মেলনে শান্তির দূতদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী সহিংসতা-সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর সমাধান রাতারাতি হবে না। কিন্তু শান্তির দূত হিসেবে সহিংসতাবিহীন ভবিষ্যৎ নির্বাচনের স্বপ্ন দেখার মাধ্যমে সমাজে আপনারা ইতিবাচক উদাহরণ হয়ে থাকবেন।’
মার্কিন লোকগায়ক পিট সিগারকে উদ্ধৃত করে বার্নিকাট বলেন, যে মানুষ একমত হচ্ছেন না, তার সঙ্গে কথা বলতে শিখতে পারা খুব গুরুত্বপূর্ণ। একুশ শতকে এই যোগ্যতাটা হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আস্থা ও সম্মান অর্জন করতে ভিন্নমতের প্রতি সহনশীলতা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জিএম কাদের বলেন, ‘বিরোধ নিষ্পত্তিতে দরকার শান্তিপূর্ণ আলোচনা। আর সেটির জন্য গণতান্ত্রিক সরকার প্রয়োজন। এখন যারা ক্ষমতায়, তারা ওই অর্থে গণতান্ত্রিক সরকার নয়।’
তিনি বলেন, গণতন্ত্র একেক দেশে একেকভাবে চর্চা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ভারত একেক দেশে একেকভাবে গণতন্ত্র কাজ করে। কিন্তু গণতন্ত্রের মূল কথা হলো, রাষ্ট্রের সব ক্ষমতার মালিক হচ্ছে জনগণ। যেভাবেই গণতন্ত্রের চর্চা হোক না কেন, এই নীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের পরিচালক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘বহুত্ববাদী সমাজে বিরোধ থাকবে। কিন্তু সেটা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।’
বদিউল আলম বলেন, ‘আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে দেশকে স্বাধীন করেছি। কিন্তু দেশ আজ বিভক্ত। আমরা একে অন্যের সঙ্গে সহিংসতায় লিপ্ত। যারা এই সহিংসতায় লিপ্ত, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে দুর্বৃত্তদের রুখে দাঁড়াতে হবে।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন