সাঙ্গ হলো ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎসব’। গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত শিকড়ের গানের মোহ পুরো শহরে ছড়িয়ে আসরটি এবারের মতো শেষ হলো। তিন দিনের এ উৎসবে অংশ নেন বিভিন্ন দেশের লোকগানের জনপ্রিয় শিল্পীরা। এ আয়োজনে গানের ফাঁকে কয়েকজন খ্যাতিমান শিল্পী কথা বলেছেন প্রথম আলোর সঙ্গে। তাঁদের কথা নিয়েই এ আয়োজন। শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রণব ভৌমিক ও আদর রহমান
পাকিস্তানের সুফি শিল্পী বলতেই যাঁর নাম প্রথমে আসে, তিনি আবিদা পারভীন। জন্ম পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের লারকানায়। বাবা ছিলেন গুলাম হায়দার, শাস্ত্রীয় সংগীতের বড় ওস্তাদ। তিন বছর বয়স থেকেই আবিদা বাবার কাছে তালিম নিতে শুরু করেন।
আবিদা পারভীনের সংগীত ঘরানা ‘সুফিয়ানা কালাম’ হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, ‘বাবা শাস্ত্রীয় সংগীতের পাশাপাশি সুফিয়ানা কালামও করতেন। তিন বছর বয়সেই এই সংগীতকে ভালোবেসে ফেলি। সেটা এখনো আছে। আসলে সংগীত ওপর থেকে আসে।’
বাংলাদেশের সুফি ও বাউলগানের ব্যাপারেও দারুণ উৎসাহ আবিদার। বললেন, ‘আল্লামা ইকবাল ও কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সুফি ও বাউল ঘরানার সংগীত নিয়ে আমার কাজ করার ইচ্ছা আছে। এই ইচ্ছা আজ থেকে নয়, অনেক দিনের! কিন্তু পাকিস্তানে বাংলা ভাষা জানার লোক কম তো, তাই উচ্চারণ ঠিক করার কিছু ঝামেলা আছে।’
আবিদা পারভীন বলেন জীবন–সম্পর্কিত তাঁর দর্শনের কথা। এক মানুষের ভেতর তিনি অনেক জীবন দেখতে পান। সেই জীবনগুলোকে নতুন করে জন্ম দেওয়াই জীবনের লক্ষ্য। তিনি বলেন, ‘জীবন হলো খোদার এক অদ্ভুত উপহার। আমাদের লক্ষ্য, কীভাবে এর সম্পূর্ণ ব্যবহার করা যায়। সবকিছু মানুষের ভেতর থেকেই বের হয়। খোদা তো বাইরে নন! মানুষের ভেতরে তিনি বাস করেন।’
এমন দর্শন আবিদা পেয়েছেন বাবা ওস্তাদ গুলাম হায়দারের কাছ থেকে। বড়ই হয়েছেন ‘দরগাহী মহলে’। দরবেশ–প্রকৃতির বাবা সম্পর্কে আবিদা বলেন, ‘তিনি নিভৃতে থাকতে পছন্দ করতেন। টেলিভিশন-রেডিওতে তাঁকে পাওয়া যাবে না। তাঁর অনেক সাগরেদ, কিন্তু তিনি নিজে তেমন প্রকাশ্যে আসতেন না। বাবা জ্ঞান বিলিয়ে দিতেন। জ্ঞান লুকালে এলেম বাড়তে পারে না।’
আবিদা পারভীনের কাছে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা জানতে চাই। বললেন, তাঁর দারুণ ভালো লেগেছে। আসার সময় তাঁকে ভিসা জটিলতায় পড়তে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আসতে পারবেন কি না, তা নিয়ে ছিল সংশয়। তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস করুন, এখানে আসার জন্য ভেতর থেকে একটা তাড়না ছিল। শেষ পর্যন্ত সবার ভালোবাসার টানে এখানে আসতে পেরেছি।’ prothomalo
পাকিস্তানের সুফি শিল্পী বলতেই যাঁর নাম প্রথমে আসে, তিনি আবিদা পারভীন। জন্ম পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের লারকানায়। বাবা ছিলেন গুলাম হায়দার, শাস্ত্রীয় সংগীতের বড় ওস্তাদ। তিন বছর বয়স থেকেই আবিদা বাবার কাছে তালিম নিতে শুরু করেন।
আবিদা পারভীনের সংগীত ঘরানা ‘সুফিয়ানা কালাম’ হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, ‘বাবা শাস্ত্রীয় সংগীতের পাশাপাশি সুফিয়ানা কালামও করতেন। তিন বছর বয়সেই এই সংগীতকে ভালোবেসে ফেলি। সেটা এখনো আছে। আসলে সংগীত ওপর থেকে আসে।’
বাংলাদেশের সুফি ও বাউলগানের ব্যাপারেও দারুণ উৎসাহ আবিদার। বললেন, ‘আল্লামা ইকবাল ও কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সুফি ও বাউল ঘরানার সংগীত নিয়ে আমার কাজ করার ইচ্ছা আছে। এই ইচ্ছা আজ থেকে নয়, অনেক দিনের! কিন্তু পাকিস্তানে বাংলা ভাষা জানার লোক কম তো, তাই উচ্চারণ ঠিক করার কিছু ঝামেলা আছে।’
আবিদা পারভীন বলেন জীবন–সম্পর্কিত তাঁর দর্শনের কথা। এক মানুষের ভেতর তিনি অনেক জীবন দেখতে পান। সেই জীবনগুলোকে নতুন করে জন্ম দেওয়াই জীবনের লক্ষ্য। তিনি বলেন, ‘জীবন হলো খোদার এক অদ্ভুত উপহার। আমাদের লক্ষ্য, কীভাবে এর সম্পূর্ণ ব্যবহার করা যায়। সবকিছু মানুষের ভেতর থেকেই বের হয়। খোদা তো বাইরে নন! মানুষের ভেতরে তিনি বাস করেন।’
এমন দর্শন আবিদা পেয়েছেন বাবা ওস্তাদ গুলাম হায়দারের কাছ থেকে। বড়ই হয়েছেন ‘দরগাহী মহলে’। দরবেশ–প্রকৃতির বাবা সম্পর্কে আবিদা বলেন, ‘তিনি নিভৃতে থাকতে পছন্দ করতেন। টেলিভিশন-রেডিওতে তাঁকে পাওয়া যাবে না। তাঁর অনেক সাগরেদ, কিন্তু তিনি নিজে তেমন প্রকাশ্যে আসতেন না। বাবা জ্ঞান বিলিয়ে দিতেন। জ্ঞান লুকালে এলেম বাড়তে পারে না।’
আবিদা পারভীনের কাছে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা জানতে চাই। বললেন, তাঁর দারুণ ভালো লেগেছে। আসার সময় তাঁকে ভিসা জটিলতায় পড়তে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আসতে পারবেন কি না, তা নিয়ে ছিল সংশয়। তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস করুন, এখানে আসার জন্য ভেতর থেকে একটা তাড়না ছিল। শেষ পর্যন্ত সবার ভালোবাসার টানে এখানে আসতে পেরেছি।’ prothomalo
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন