তুরস্ক থেকে সাগরপথে গ্রিসে যাওয়ার সময় তিনটি নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ১৭টি শিশুসহ ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গ্রিক কর্মকর্তারা গতকাল শুক্রবার এসব কথা জানিয়েছেন। গ্রিসের কালিমোনস ও রোডস দ্বীপের কাছে দুটি এবং তুরস্কের উপকূলে একটি নৌকা ডুবে যায়। খবর এএফপির।
গ্রিসের বন্দর কর্মকর্তারা বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে নিমজ্জিত দুটি নৌকার ১৩৮ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে কোস্টগার্ড। কালিমোনসের কাছাকাছি সাগরে ডুবে যাওয়া নৌকার যাত্রীদের মধ্য থেকে ছয় নারী, ১০ শিশুসহ ১৯ জনের মৃতদেহ গতকাল সকালে উদ্ধার করা হয়। আর রোডস দ্বীপের কাছে একটি নৌকা ডুবে এক নারী ও এক শিশুর মৃত্যু হয়। উদ্ধার করা হয়েছে ছয়জনকে। তিনজনের খোঁজ মেলেনি।
এ ছাড়া ইজিয়ান সাগরের অপর পারে তুরস্কের উপকূলে গ্রিসগামী একটি নৌকা ডুবে গতকাল চারটি সিরীয় শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নাজুক ওই নৌকাটি খারাপ আবহাওয়ার কারণে ডুবে যায়। লাশগুলো উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। নৌকাটির আরও ১৯ জন আরোহীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের পরনে লাইফ জ্যাকেট ছিল।
খারাপ আবহাওয়ার কারণে ইজিয়ান সাগরে নৌকাডুবির আশঙ্কা বেড়েছে। মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও এশিয়ার কয়েকটি দেশ থেকে দলে দলে মানুষ গ্রিস উপকূল দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করছে। চলতি বছর এ পর্যন্ত ৫ লাখ ৭০ হাজারের বেশি শরণার্থী ও অভিবাসী ইউরোপে পৌঁছেছে। এতে শরণার্থীদের নিয়ে ওই মহাদেশে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সবচেয়ে বড় সংকট তৈরি হয়েছে।
নৌকাডুবির ঘটনায় আবারও শরণার্থীদের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘লজ্জাজনক’ আখ্যা দিয়েছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাস। শরণার্থী-সংকট মোকাবিলায় ইউরোপীয় অন্যান্য দেশের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ইজিয়ান সাগরের বিভিন্ন উপকূলে মৃত শিশুদের জন্য লোক দেখানো কান্নাকাটি হচ্ছে। কারণ, মৃত শিশুরা সব সময়ই দুঃখ জাগায়। কিন্তু হাজারো শিশু জীবিত অবস্থায় ইউরোপে আসছে। তাদের পরিণতি কী হবে? তাদের কথা কেউ তো ভাবে না।
বিবিসি জানায়, স্পেনের দক্ষিণাঞ্চলে একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার পর নিখোঁজ ৩৫ জনের খোঁজে উদ্ধার অভিযান চলছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ঝুঁকিপূর্ণ নৌকাটি মরক্কো থেকে শরণার্থীদের নিয়ে স্পেনে যাচ্ছিল। অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাইয়ের কারণেই এটি ডুবেছে। তবে ১৫ জন শরণার্থীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার হিসাবে, ভূমধ্যসাগরে ইউরোপগামী নৌকা ডুবে চলতি বছর এ পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। তুরস্কের বোদ্রাম সৈকতে গত ২ সেপ্টেম্বর সিরীয় শিশু আয়লান কুর্দির লাশ ভেসে ওঠার পর সেই ছবি বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
গ্রিসের বন্দর কর্মকর্তারা বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে নিমজ্জিত দুটি নৌকার ১৩৮ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে কোস্টগার্ড। কালিমোনসের কাছাকাছি সাগরে ডুবে যাওয়া নৌকার যাত্রীদের মধ্য থেকে ছয় নারী, ১০ শিশুসহ ১৯ জনের মৃতদেহ গতকাল সকালে উদ্ধার করা হয়। আর রোডস দ্বীপের কাছে একটি নৌকা ডুবে এক নারী ও এক শিশুর মৃত্যু হয়। উদ্ধার করা হয়েছে ছয়জনকে। তিনজনের খোঁজ মেলেনি।
এ ছাড়া ইজিয়ান সাগরের অপর পারে তুরস্কের উপকূলে গ্রিসগামী একটি নৌকা ডুবে গতকাল চারটি সিরীয় শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নাজুক ওই নৌকাটি খারাপ আবহাওয়ার কারণে ডুবে যায়। লাশগুলো উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। নৌকাটির আরও ১৯ জন আরোহীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের পরনে লাইফ জ্যাকেট ছিল।
খারাপ আবহাওয়ার কারণে ইজিয়ান সাগরে নৌকাডুবির আশঙ্কা বেড়েছে। মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও এশিয়ার কয়েকটি দেশ থেকে দলে দলে মানুষ গ্রিস উপকূল দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করছে। চলতি বছর এ পর্যন্ত ৫ লাখ ৭০ হাজারের বেশি শরণার্থী ও অভিবাসী ইউরোপে পৌঁছেছে। এতে শরণার্থীদের নিয়ে ওই মহাদেশে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সবচেয়ে বড় সংকট তৈরি হয়েছে।
নৌকাডুবির ঘটনায় আবারও শরণার্থীদের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘লজ্জাজনক’ আখ্যা দিয়েছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাস। শরণার্থী-সংকট মোকাবিলায় ইউরোপীয় অন্যান্য দেশের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ইজিয়ান সাগরের বিভিন্ন উপকূলে মৃত শিশুদের জন্য লোক দেখানো কান্নাকাটি হচ্ছে। কারণ, মৃত শিশুরা সব সময়ই দুঃখ জাগায়। কিন্তু হাজারো শিশু জীবিত অবস্থায় ইউরোপে আসছে। তাদের পরিণতি কী হবে? তাদের কথা কেউ তো ভাবে না।
বিবিসি জানায়, স্পেনের দক্ষিণাঞ্চলে একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার পর নিখোঁজ ৩৫ জনের খোঁজে উদ্ধার অভিযান চলছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ঝুঁকিপূর্ণ নৌকাটি মরক্কো থেকে শরণার্থীদের নিয়ে স্পেনে যাচ্ছিল। অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাইয়ের কারণেই এটি ডুবেছে। তবে ১৫ জন শরণার্থীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার হিসাবে, ভূমধ্যসাগরে ইউরোপগামী নৌকা ডুবে চলতি বছর এ পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। তুরস্কের বোদ্রাম সৈকতে গত ২ সেপ্টেম্বর সিরীয় শিশু আয়লান কুর্দির লাশ ভেসে ওঠার পর সেই ছবি বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন