রবিবার, ১ নভেম্বর, ২০১৫

মদ খেয়ে, হাফপ্যান্ট পরে আদালতে বিচারক

                        
মদে বেহুঁশ হয়ে হাফ প্যান্ট আর টি-শার্ট পরে আদালত চত্বরে হাজির হয়েছিলেন বিচারক।
পরে গায়ের টি শার্টটিও খুলে ফেলেন তিনি!
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ওই বিচারককে শাস্তি দিয়েছে সেখানকার হাইকোর্ট।
ওই রাজ্যের অন্য একজন বিচার বিভাগীয় অফিসার আরও কড়া শাস্তি পেয়েছেন।
পি এইচ ডি-র পরীক্ষায় টুকলি করতে গিয়ে ধরা পড়ায় অবসরগ্রহণে বাধ্য করা হয়েছে তাঁকে।
ত্রিপুরা সরকার ওই দুজনের শাস্তি ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
প্রথম ঘটনাটি ঊনকোটি জেলার কৈলাশহর আদালতের।
অন্য একটি জেলার পারিবারিক আদালতের বিচারক জেষ্ঠ্যমনি মূঢ়াসিং ছুটিতে থাকাকালীন মদে চূর হয়ে কৈলাশহর আদালতে চলে আসেন।
পরনে হাফ প্যান্ট আর টি শার্ট।
প্রথমে একজন সিভিল জজের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে তার দপ্তরে ঢুকে চেয়ার টেবিল ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন।
তারপরে এক সময়ে টি-শার্টটিও খুলে ফেলেন মি. মূঢ়াসিং – সেটির জায়গা হয় তাঁর কাঁধে।
ভরা আদালত চত্বরে তখন বিচারপ্রার্থী থেকে শুরু করে জজ সাহেবরা – সকলেই হতবাক খালি গায়ে হাফ প্যান্ট পরা মাতাল বিচারকের কাণ্ডকারখানা দেখে।
ঊনকোটি জেলা জজের রিপোর্ট আর বিভাগীয় তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে ত্রিপুরা হাইকোর্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে মি. মূঢ়াসিং যা করেছেন, তা কখনই একজন বিচারকের কাছে প্রত্যাশিত নয় –
আর এই ঘটনায় আইন-ভঙ্গও হয়েছে।
পরবর্তী দুবছর বেতন বৃদ্ধি হবে না জেষ্ঠ্যমনি মূঢ়াসিংয়ের - এটাই শাস্তি।
এই বিচারককে বেতন বৃদ্ধি বন্ধের শাস্তি দিলেও অন্য এক বিচারবিভাগীয় অফিসারকে চাকরি থেকে অবসর নিতে বাধ্য করা হয়েছে।
গোমতী জেলার লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির সচিব প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস ডক্টরেট ডিগ্রির একটি লিখিত পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে ধরা পড়েন।
সংবাদমাধ্যমে সেই খবর প্রকাশিত হয়।
তাঁকে সাসপেন্ড করে বিভাগীয় তদন্ত চলে। মি. বিশ্বাস দোষী প্রমাণিত হন।
সেই তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে ত্রিপুরা হাইকোর্ট তাকে চাকরি থেকে অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন