মালদ্বীপের সরকার জাতীয় নিরাপত্তা এবং জনগণের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি ঠেকাতে এক মাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
দুদিন পর বিরোধী দল মালদ্বীপ ডেমোক্রাটিক পার্টি, এমডিপি সরকার বিরোধী একটি বড় বিক্ষোভ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে। তার আগে সরকার এই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করল।মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন দেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারের ঢালাও ক্ষমতা দিয়েছেন।
দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন সম্প্রতি দুটি ভিন্ন স্থান থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে এবং বিপদজনক অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহারের ষড়যন্ত্রও উদঘাটন করা হয়েছে।
সোমবার কর্তৃপক্ষ জানায় প্রেসিডেন্ট ভবনের সামনে পেতে রাখা একটি বোমা তারা সফলভাবে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয়েছে।
এমডিপি নেতা মোহাম্মদ নাশিদকে সন্ত্রাস দমন আইনে দোষী সাব্যস্ত করে মার্চ মাসে কারাবন্দী করা হয়। ওই রায় নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মেদ অনিল বলেছেন, ''উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ও বিস্ফোরক জনসাধারণ ও দেশের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি বিবেচনায় জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল মালদ্বীপের জনগেণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অবিলম্বের পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে।''
সংবিধান অনুযায়ী জরুরি অবস্থার আওতায় কিছু মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতা খর্ব করা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহে মালদ্বীপে রাজনৈতিক অর্ন্তদ্বন্দ্ব বেশ প্রকট হয়ে উঠেছে।
ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আদিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রেসিডেন্টকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে। প্রেসিডেন্টকে বহনকারী একটি নৌযান বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে তিনি জড়িত ছিলেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল।
নৌকায় ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রেসিডেন্ট অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও তার স্ত্রী আহত হয়েছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন