দক্ষিণ চীন সাগরে বিরোধপূর্ণ জলসীমায় আবার নৌ তৎপরতা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশটন কার্টার এ মন্তব্য করেন। তবে এ রকম পদক্ষেপের কোনো দিনক্ষণ উল্লেখ করেননি তিনি। আর চীন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যকার আস্থা ক্ষুণ্ন করেছে। খবর রয়টার্সের।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় গত শনিবার রোনাল্ড রিগ্যান প্রেসিডেনশিয়াল লাইব্রেরিতে মার্কিন ডিফেন্স ফোরামের এক বক্তৃতায় ওই মন্তব্য করেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণের সমালোচনা করে বক্তৃতায় তিনি বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগ করেন।
গত ২৭ অক্টোবর ইউএসএস লাসেন নামে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ওই দ্বীপের ১২ নটিক্যাল মাইলের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে। ঘটনার পর চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, বেইজিং যেকোনো উসকানিমূলক তৎপরতার জবাব দেবে। মার্কিন রণতরিকে সতর্ক করতে সেখানে একটি ডেস্ট্রয়ার শ্রেণির জাহাজ ও একটি ফ্রিগেটও পাঠায় বেইজিং।
তবে ওয়াশিংটনের কথায়, এ অঞ্চলে সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার বিতর্কে তারা কোনো অবস্থান নিচ্ছে না, বরং আন্তর্জাতিক আইনের অধীন নৌ চালনার স্বাধীনতাকে সুরক্ষা করাই ছিল যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর উদ্দেশ্য।
এ মিশনের উল্লেখ করে অ্যাশটন কার্টার বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী (নৌ চলাচলের স্বাধীনতা রক্ষায়) যুক্তরাষ্ট্র আগে থেকে এ ধরনের তৎপরতা চালিয়ে আসছে। আমরা আবারও (দক্ষিণ-চীন সাগরে) তৎপরতা চালাব।’
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘চীন কী রকমের আচরণ করে, প্রকৃতপক্ষে সেটি হবে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় তার প্রতিশ্রুতির একটি সত্যিকারের পরীক্ষা। এ জন্যই এ অঞ্চলজুড়ে থাকা দেশগুলো চীনের সমুদ্র আধিপত্য ও সাইবার স্পেসের মতো ক্ষেত্রগুলোর ওপর তার কর্মকাণ্ডে নজরদারি করছে।
দক্ষিণ চীন সাগরের অধিকাংশ এলাকার ওপর নিজের সার্বভৌমত্ব দাবি করছে চীন। এ দাবি নিয়ে ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই, ফিলিপাইন ও তাইওয়ানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে তার বিরোধ চলছে।
কার্টার বলেন, এ অঞ্চলে যেকোনো দেশের চেয়ে চীন অনেক বেশি এলাকার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে। এ দাবি ও সেখানে আরও সামরিকীকরণের সম্ভাবনায় যুক্তরাষ্ট্র গভীর উদ্বিগ্ন।
এদিকে কার্টারের এসব বক্তব্যের আগে গত শুক্রবার চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক খবরে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে বলেছেন, চীনা দ্বীপের কাছে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ অতিক্রমের ঘটনায় দুই দেশের মধ্যকার পারস্পরিক আস্থা ক্ষুণ্ন হয়েছে। bbc
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন