শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ মঙ্গলবার। বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন-সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় দিন। এমন এক সময় দিবসটি পালিত হচ্ছে যখন নির্বাচিত সরকার রাষ্ট্রীয় মসনদে অধিষ্ঠিত থাকলেও গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ নিয়ে দেশ-বিদেশে আলোচনা-সমালোচনা অব্যাহত রয়েছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার অবিশ্বাস্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে রাজপথের বিরোধী শিবিরকে উপেক্ষা করে নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নে স্বৈরাচারী মনোভাব দেখাচ্ছে বলে পর্যবেক্ষকমহল মনে করছে।
শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এ ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিশেষ বাণী দিয়েছেন।
১৯৮৭ সালের এই দিনে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী গণ-আন্দোলনে বুকে-পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ লেখা স্লোগান নিয়ে বিক্ষোভ করেন যুবলীগ নেতা নূর হোসেন। রাজধানীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় (বর্তমান শহীদ নূর হোসেন স্কয়ার) পুলিশের গুলীতে শহীদ হন তিনি। স্বৈরশাসকের বুলেট কেড়ে নিয়েছিল ‘জীবন্ত পোস্টার’ নূর হোসেনের প্রাণ। তার এ আত্মদান স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনকে বেগবান করেছিল। নূর হোসেনের রক্তের বিনিময়ে ’৯০-এ স্বৈরাচার এরশাদের পতন হলেও এখনো পর্যন্ত তার হত্যার বিচার হয়নি।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অকুতোভয় সেই যুবকের অগ্নিঝরা স্লোগান সহ্য হয়নি তৎকালীন স্বৈরশাসকের। স্বৈরাচারের লেলিয়ে দেয়া বাহিনী নির্বিচারে গুলী চালিয়ে তার বুক ঝাঁঝরা করে দেয়। গুলীতে আরো শহীদ হন যুবলীগ নেতা নুরুল হুদা বাবুল ও কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ক্ষেতমজুর নেতা আমিনুল হুদা টিটোও। নূর হোসেনের আত্মত্যাগের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ এর ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচারের পতন ঘটে। এর পর থেকে প্রতিবছর যথাযোগ্য মর্যাদায় ১০ নবেম্বর ‘শহীদ নূর হোসেন দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
অন্যদিকে, শহীদ নূর হোসেন দিবসকে কয়েকবছর ধরে তৎকালীন শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দল জাতীয় পার্টি ‘গণতন্ত্র দিবস’ হিসেবে পালন করছে। বর্তমান সরকারও সেই এরশাদের সাথে গাঁটছড়া বেঁধেছে। এরশাদের দলকে করা হয়েছে বিরোধী দল, এরশাদকে বানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত।
নূর হোসেন ১৯৬১ সালে পুরান ঢাকার নারিন্দায় জন্মগ্রহন করেন। বাবা মুজিবর রহমান ও মাতা মরিয়ম বিবি। পেশায় স্কুটার চালক। স্বাধীনতার পর থেকেই নূর হোসেন ও তার পরিবার বনগ্রাম রোডের ৭৯/১ বাড়িতে থাকতেন।
শহীদ নূর হোসেনের অমর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সচিবালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে জিরো পয়েন্টকে ‘নূর হোসেন চত্বর’ নামকরণ করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শহীদের কবরে (জুরাইন কবরস্থান) পুষ্পস্তবক অর্পণ, শহীদ নূর হোসেন স্কয়ারে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, আলোচনা সভা, বিশেষ মুনাজাত প্রভৃতি।
শহীদ নূর হোসেন সংসদ-এর কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৮টায় নূর হোসেনের কবরে (জুরাইন কবরস্থান) পুষ্পমাল্য অর্পণ ও দোয়া মাহফিল। এছাড়াও সকাল ৭টায় নূর হোসেন চত্বরে পুষ্পমাল্য অর্পণ। আওয়ামী লীগ আজ সকাল সাড়ে ৭টায় শহীদ নূর হোসেন স্কয়ারে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের এ মহান শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে।
এদিকে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এক বিবৃতিতে শহীদ নূর হোসেন দিবস যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালনের জন্য সংগঠনের সকল শাখাসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। dailysangram
শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এ ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিশেষ বাণী দিয়েছেন।
১৯৮৭ সালের এই দিনে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী গণ-আন্দোলনে বুকে-পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ লেখা স্লোগান নিয়ে বিক্ষোভ করেন যুবলীগ নেতা নূর হোসেন। রাজধানীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় (বর্তমান শহীদ নূর হোসেন স্কয়ার) পুলিশের গুলীতে শহীদ হন তিনি। স্বৈরশাসকের বুলেট কেড়ে নিয়েছিল ‘জীবন্ত পোস্টার’ নূর হোসেনের প্রাণ। তার এ আত্মদান স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনকে বেগবান করেছিল। নূর হোসেনের রক্তের বিনিময়ে ’৯০-এ স্বৈরাচার এরশাদের পতন হলেও এখনো পর্যন্ত তার হত্যার বিচার হয়নি।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অকুতোভয় সেই যুবকের অগ্নিঝরা স্লোগান সহ্য হয়নি তৎকালীন স্বৈরশাসকের। স্বৈরাচারের লেলিয়ে দেয়া বাহিনী নির্বিচারে গুলী চালিয়ে তার বুক ঝাঁঝরা করে দেয়। গুলীতে আরো শহীদ হন যুবলীগ নেতা নুরুল হুদা বাবুল ও কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ক্ষেতমজুর নেতা আমিনুল হুদা টিটোও। নূর হোসেনের আত্মত্যাগের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ এর ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচারের পতন ঘটে। এর পর থেকে প্রতিবছর যথাযোগ্য মর্যাদায় ১০ নবেম্বর ‘শহীদ নূর হোসেন দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
অন্যদিকে, শহীদ নূর হোসেন দিবসকে কয়েকবছর ধরে তৎকালীন শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দল জাতীয় পার্টি ‘গণতন্ত্র দিবস’ হিসেবে পালন করছে। বর্তমান সরকারও সেই এরশাদের সাথে গাঁটছড়া বেঁধেছে। এরশাদের দলকে করা হয়েছে বিরোধী দল, এরশাদকে বানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত।
নূর হোসেন ১৯৬১ সালে পুরান ঢাকার নারিন্দায় জন্মগ্রহন করেন। বাবা মুজিবর রহমান ও মাতা মরিয়ম বিবি। পেশায় স্কুটার চালক। স্বাধীনতার পর থেকেই নূর হোসেন ও তার পরিবার বনগ্রাম রোডের ৭৯/১ বাড়িতে থাকতেন।
শহীদ নূর হোসেনের অমর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সচিবালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে জিরো পয়েন্টকে ‘নূর হোসেন চত্বর’ নামকরণ করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শহীদের কবরে (জুরাইন কবরস্থান) পুষ্পস্তবক অর্পণ, শহীদ নূর হোসেন স্কয়ারে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, আলোচনা সভা, বিশেষ মুনাজাত প্রভৃতি।
শহীদ নূর হোসেন সংসদ-এর কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৮টায় নূর হোসেনের কবরে (জুরাইন কবরস্থান) পুষ্পমাল্য অর্পণ ও দোয়া মাহফিল। এছাড়াও সকাল ৭টায় নূর হোসেন চত্বরে পুষ্পমাল্য অর্পণ। আওয়ামী লীগ আজ সকাল সাড়ে ৭টায় শহীদ নূর হোসেন স্কয়ারে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের এ মহান শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে।
এদিকে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এক বিবৃতিতে শহীদ নূর হোসেন দিবস যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালনের জন্য সংগঠনের সকল শাখাসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। dailysangram
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন