আইএস ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নামে প্রচারণা ও হুমকি দেয়ার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ।
তাদের একজন ''জিহাদী জন'' পরিচয়ে ফেসবুক পেজ খুলে আইএসের প্রচারণা চালাতো বলে পুলিশ জানিয়েছে।মঙ্গলবার রাতে ‘জিহাদি জন’ নামে পরিচয়ে আইএসের প্রচারণা চালানোর অভিযোগে নাহিদ হোসেন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে আইএস পরিচয়ে ইন্টারনেটে বিভিন্ন আইডি খুলে শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে আবদুল হক নামের আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোঃ. মনিরুল ইসলাম বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সম্মান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ হোসেন ইন্টারনেটে পড়াশোনা করে জিহাদে উদ্বৃত্ত হয়ে ওঠে। পরে আইএসের লোগোসহ ইসলামিক স্টেট দাওলা আল ইসলামিয়া নামের একটি ফেসবুক পেজ খুলে উস্কানিমুলক বক্তব্য প্রচার করছিল।
তিনি ‘জিহাদি জন’ ‘ খালিদ বিন ওয়ালিদ’ নামেও নিচের পরিচয় দিয়েছে।
প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে তাকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। সে ইসলামী ছাত্র শিবিরের একজন কর্মী বলে পুলিশ জানিয়েছে।
অন্যদিকে আবদুল হক আইএস ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নাম ব্যবহার করে একাধিক বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদকে হুমকি দিয়েছেন। পরে গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে তাদের মোবাইলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বার্তা পাঠাতো আবদুল হক।
তিনিও জামায়াতে ইসলামীর একজন কর্মী বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সম্প্রতি কয়েকজন বিদেশী নাগরিকের হত্যাকাণ্ডের পর আইএস নামে দায়িত্ব স্বীকার করা হয় বলে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে।
তবে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ বরাবরই দাবি করছে, বাংলাদেশে আইএসের অস্তিত্ব নেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন