তুরস্কের আকাশ সীমায় দ্বিতীয়বারের মতো রুশ যুদ্ধবিমান ঢুকে পড়ার পর রুশ রাষ্ট্রদূতকে আবারো ডেকে পাঠিয়েছে তুরস্ক সরকার।
তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, গত রোববার একই রুশ বিমান তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে।এর একদিন আগেই সিরিয়া সীমান্তের কাছে একটি রুশ যুদ্ধবিমান তুরস্কের সীমানায় ঢুকে পড়লে সেটিকে তাড়া করতে দেশটি দুটো যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছিল।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন নেটো জোট একে দায়িত্বহীন এবং অত্যন্ত বিপজ্জনক আচরণ বলে আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা করেছে।
নেটো রাশিয়াকে এটা বন্ধ করারর দাবিও জানিয়েছে।
অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
রাশিয়া অবশ্য বলছে সিরিয়াতে ইসলামিক স্টেট ও অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর অবস্থানের উপরেই বিমান হামলা চালানো হচ্ছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক বলছে বিষয়টা সেরকম নয়।
আসলে বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে যারা লড়ছে, রাশিয়া শুধু তাদেরই টার্গেট করছে।
রাশিয়াকে আসাদ সরকারের দীর্ঘদিনের মিত্র হিসেবে মনে করে পশ্চিমা বিশ্ব।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনকেরী বলেছেন রাশিয়া তুরস্কের আকাশসীমা লঙ্ঘন করলে তুরস্ক তার জবাব যেভাবে দিয়েছে তা তার অধিকার।
এর ফলে তুরস্ক রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে ফেলার মতো ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
আর সেই ধরনের বিষয় ঘটার সম্ভাবনাটাই এখানে উদ্বেগের।
তবে আকাশসীমা লঙ্ঘনের বিষয়টি অনিচ্ছাকৃত বলছে রাশিয়া। খারাপ আবহাওয়ার কারণে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য সেটি ঘটেছে বলে রাশিয়া বলছে।
তবে নেটো মহাসচিব ইয়েন্স স্টল্টেনবার্গ বলছেন নেটো সদস্য তুরস্কের নিরাপত্তার বিষয়টি তারা গুরুত্বের সাথে দেখছেন।
রাশিয়ার আচরণ ঐ অঞ্চলে শান্তি আনার জন্যে কাজ তো করছেই না উল্টো বরং ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অন্যদিকে রাশিয়ার হামলার মুখে পরা সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোও এখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার ডাক দিচ্ছে।
সবমিলিয়ে সিরিয়া ইস্যুতে রাশিয়ার জড়িয়ে পড়ার বিষয়টির বেশ সমালোচনা চলছে।
bbc bangla
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন