বাংলাদেশে পাবনার ঈশ্বরদীতে একটি গির্জার পাদ্রীকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওবায়দুর রহমান নামের ওই যুবক জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গ সংগঠন, ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মী বলে পুলিশ জানিয়েছে।ঈশ্বরদীর ব্যাপটিস্ট মিশরের ‘ফেইথ বাইবেল চার্চ অব গড’ এর পাদ্রী লুক সরকারকে শহরের নিজের ভাড়া বাসায় গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা নেবার পর তিনি এখন আশংকামুক্ত আছেন।
বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেছেন, ধর্মীয় কারণেই তাঁর ওপর আক্রমণ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
তবে ওই এলাকায় এর আগে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর কোন আক্রমণের চেষ্টা হয় নি।
সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে প্যাস্টর লুক সরকার বলছিলেন, কয়েকদিন আগে দুইজন যুবক এসে বলেছিল যে, তারা খৃষ্টান হতে চায়। কিন্তু তিনি তাদের জানান, তারা কাউকে খৃষ্টান বানান না, তবে চাইলে তারা কোন আলোচনা করতে চাইলে জানাতে পারবেন।
তিনি জানান, সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানায় প্রার্থনা করছিলেন, এ সময় দেখতে পান তিনজন ব্যক্তি এসেছেন। বসার কক্ষে বসে যখন তিনি তাদের বাইবেল থেকে পড়ে শোনাচ্ছিলেন, হটাৎ করে তারা উঠে মুখ চেপে ধরে। একটি কক্ষে তার স্ত্রী ও সন্তানরা ছিল, সেই ঘরের দরজাও তারা বন্ধ করে দেয়। এ সময় তিনি তাদের আঙ্গুল কামড়ে ধরলে হাত আলগা হয়ে যায়।
তখন তিনি দৌড়ে বারান্দায় গিয়ে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করেন। এ সময় হামলাকারীরা ধারালো চাকু দিয়ে তার গলা কাটার চেষ্টা করে।
তার চিৎকার শুনে যখন প্রতিবেশীরা বেরিয়ে আসে, তখন ওই তিনজন তাদের মোটরসাইকেলটি ফেলেই পালিয়ে যায়।
মি. সরকার বলছেন, 'ধর্মীয় কারণেই হামলা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কারণ আমি ভিন্ন ধর্মের।'
পুলিশ তাকে নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছে, তবে কি ধরণের ব্যবস্থা হয়েছে, তা তাঁর জানা নেই।
নিরাপত্তার জন্য ঈশ্বরের উপরেই তিনি নির্ভর করছেন বলে জানান।
সোমবারই অজ্ঞাত পরিচয়ের কয়েকজনের বিরুদ্ধে তিনি একটি মামলা করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন