অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের পর এবার দক্ষিণ আফ্রিকার মহিলা ক্রিকেট দলও অক্টোবরে নির্ধারিত বাংলাদেশ সফরে আসছে না। এর আগের সপ্তাহেই জঙ্গি আক্রমণের আশংকার কথা জানিয়ে নিরাপত্তাজনিত কারণে বাংলাদেশ সফর স্থগিত করে অস্ট্রেলিয়া।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলেও এটা বোধহয় স্পষ্ট যে পর পর দুটি বিদেশী ক্রিকেট দলের সফর স্থগিত হওয়ার পর বাংলাদেশের ক্রিকেট এক ধরনের অনিশ্চিত পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।এই পরিস্থিতি কাটাতে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বিদেশী দেশগুলোর মধ্যে আস্থা তৈরি জরুরী বলে মন্তব্য করেছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।
উইজডেন ইন্ডিয়া ক্রিকেট সাময়িকীর সিনিয়র সম্পাদক সাম্য দাশগুপ্ত বলছিলেন, এ ধরণের ঘটনা এখানে অনেক বেশি ঘটে বলে হয়তো আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। কিন্তু অনেক দেশ এরকম ব্যাপারে অনভ্যস্ত। কোন দেশ যদি তাদের ক্রিকেটারদের বিষয়ে ভয়ভীতি থাকে, তাহলে না আসায় তাদের দোষ দেয়া যায় না।
সাম্য দাশগুপ্ত বলছেন, পাকিস্তানের দিকে তাকালে বোঝা যায়, এসব ঘটনা তার ইমেজের উপর কিরকম প্রভাব ফেলেছে, সেটা এখনো কাটেনি। এখন খেলোয়াড়দের উপর নিরাপত্তা হুমকি যদি থাকে, যদি একটা ঘটনা ঘটে যায়, তার পরিণাম কি হবে?
‘তার তুলনায় ক্রিকেট বা যেকোনো একটা খেলার চেয়ে সেটা ঠেকানো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এরকম পরিস্থিতিতে বরং খেলা না হওয়াই ভালো।‘ বলছেন মি. দাশগুপ্ত।
এরকম পরিস্থিতিতে পাকিস্তান যেভাবে ক্রিকেটের জন্য আন্তর্জাতিক ভেন্যু বেছে নিয়েছে, বাংলাদেশকেও কি সেরকম করতে হবে?
এই প্রশ্নের জবাবে মি. দাশগুপ্ত বলছেন, এখনো বাংলাদেশ সেই অবস্থায় পৌঁছায়নি। এখনো কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর লিংক পাওয়া যায়নি।
মি. দাশগুপ্ত বলছেন, ভারত সরকার যেভাবে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার ভরসা দিতে পেরেছেন, হয়তো পাকিস্তান সরকার সেটা পারেনি। ব্যাপারটা আসলে একটা আস্থার বিষয়।
সেই আস্থা তৈরি করতে পারাটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বলছেন সাম্য দাশগুপ্ত। তবে এখন যে পরিস্থিতি, ছয়মাস পরে হয়তো তা পাল্টেও যেতে পারে।
bbc bangla
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন