ভারতের আম্পায়ারদের পক্ষপাত নিয়ে ক্রিকেট দুনিয়ায় এক সময় বেশ রঙ্গরসিকতা চালু ছিল। নিন্দুকেরা এমনও বলেন, অনিল কুম্বলের নেওয়া এক ইনিংসে দশ উইকেটের এক-দুটোর কৃতিত্বের ভাগীদার নাকি ভারতীয় আম্পায়ার আরানি জয়প্রকাশও! নিরপেক্ষ আম্পায়ার নীতি আর প্রযুক্তির উৎকর্ষে এখন আম্পায়ারদের পক্ষপাতের সুযোগ সেভাবে নেই। এখন বরং উল্টো দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। ভারতীয় আম্পায়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাল ভারতীয় ক্রিকেট দলই!
বিনীত কুলকার্নির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন ভারতীয় দল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২-০তে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হার এবং ৫ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতেও হেরে যাওয়ার পর এই অভিযোগ জানাল ভারত। এই তিন ম্যাচের দুটিতে মাঠে এবং একটিতে টিভি আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন কুলকার্নি। কুলকার্নি সাড়া দেননি এমন চারটি এলবিডব্লু আবেদনকে প্রমাণ হিসেবে হাজির করে ভারত তাঁকে ম্যাচ পরিচালনায় অনুপযুক্ত দাবি করেছে।
আগে থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে অসন্তোষ দানা বাঁধছিল, যেটি এক রকম বিস্ফোরিত হয়েছে প্রথম ওয়ানেতে ভারত জিতজে জিততে মাত্র ৫ রানে হেরে যাওয়ার পর। সামাজিক মাধ্যমে কুলকার্নির মুণ্ডুপাত করছেন ভারতীয় সমর্থকেরা।
কুলকার্নি দুবার জেপি ডুমিনির বিরুদ্ধে করা আবেদনে সাড়া দেননি। ফ্যাফ ডু প্লেসির বিপক্ষে প্রথম বলেই করা অশ্বিনের আবেদনও নাকচ করে দিয়েছেন। এ ছাড়া শিখর ধাওয়ানের বিরুদ্ধে দেওয়া এলডিব্লুর সিদ্ধান্তটিও ভারত মানতে পারছে না। মহেন্দ্র সিং ধোনিও কদিন ধরে ‘গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত পক্ষে না-আসা’র কথা বলে আসছেন।
আইসিসির আন্তর্জাতিক আম্পায়ার প্যানেলে ভারতের চার আম্পায়ারের একজন কুলকার্নি। নিজ দেশের আম্পায়ারের এই ‘অদক্ষতা’, এবং এর ফলে ম্যাচ হেরে যাওয়ার পরিণতি ভোগ করতে হচ্ছে বলে ভারত মনে করে। আর তাই আরও একবার ডিআরএস পদ্ধতিকে মেনে নেওয়ার দাবিও উঠল ভারতের ভেতর থেকেই। ক্রিকেট বিশ্বে ভারতই একমাত্র দেশ, যারা এখনো ডিআরএস পদ্ধতির পক্ষে নেই।
|
বিনীত কুলকার্নির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন ভারতীয় দল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২-০তে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হার এবং ৫ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতেও হেরে যাওয়ার পর এই অভিযোগ জানাল ভারত। এই তিন ম্যাচের দুটিতে মাঠে এবং একটিতে টিভি আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন কুলকার্নি। কুলকার্নি সাড়া দেননি এমন চারটি এলবিডব্লু আবেদনকে প্রমাণ হিসেবে হাজির করে ভারত তাঁকে ম্যাচ পরিচালনায় অনুপযুক্ত দাবি করেছে।
আগে থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে অসন্তোষ দানা বাঁধছিল, যেটি এক রকম বিস্ফোরিত হয়েছে প্রথম ওয়ানেতে ভারত জিতজে জিততে মাত্র ৫ রানে হেরে যাওয়ার পর। সামাজিক মাধ্যমে কুলকার্নির মুণ্ডুপাত করছেন ভারতীয় সমর্থকেরা।
কুলকার্নি দুবার জেপি ডুমিনির বিরুদ্ধে করা আবেদনে সাড়া দেননি। ফ্যাফ ডু প্লেসির বিপক্ষে প্রথম বলেই করা অশ্বিনের আবেদনও নাকচ করে দিয়েছেন। এ ছাড়া শিখর ধাওয়ানের বিরুদ্ধে দেওয়া এলডিব্লুর সিদ্ধান্তটিও ভারত মানতে পারছে না। মহেন্দ্র সিং ধোনিও কদিন ধরে ‘গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত পক্ষে না-আসা’র কথা বলে আসছেন।
আইসিসির আন্তর্জাতিক আম্পায়ার প্যানেলে ভারতের চার আম্পায়ারের একজন কুলকার্নি। নিজ দেশের আম্পায়ারের এই ‘অদক্ষতা’, এবং এর ফলে ম্যাচ হেরে যাওয়ার পরিণতি ভোগ করতে হচ্ছে বলে ভারত মনে করে। আর তাই আরও একবার ডিআরএস পদ্ধতিকে মেনে নেওয়ার দাবিও উঠল ভারতের ভেতর থেকেই। ক্রিকেট বিশ্বে ভারতই একমাত্র দেশ, যারা এখনো ডিআরএস পদ্ধতির পক্ষে নেই।
|
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন