শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৫

আওয়ামী লীগ সমর্থকরাও এমপি লিটনকে বহিস্কারের পক্ষে


 
বাংলাদেশে গুলি করে এক শিশুকে আহত করার অভিযোগে আওয়ামী লীগের এক সংসদ সদস্যকে বহিস্কারের দাবি তুলেছেন দলটির স্থানীয় পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটন এ ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে আছেন।
গত শুক্রবার তিনি নিজের সংসদীয় এলাকায় গুলি করে নয় বছরের এক শিশুকে আহত করেছেন বলে অভিযোগ উঠার পর এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন মানবাধিকার এবং শিশু অধিকার সংস্থা তাকে গ্রেফতার এবং এমনকি তার সংসদ সদস্যপদ বাতিলের দাবি তোলে।
সংসদ সদস্য এ ঘটনার পর তাঁর দুটো অস্ত্র স্থানীয় থানায় জমা দেন, আর সেখানকার কর্তৃপক্ষ দুটো অস্ত্রেরই লাইসেন্স বাতিল করে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হলেও তিনি আদালতে যাননি, কিংবা তাকে গ্রেফতারও করা হয়নি।
কিন্তু ঘটনাটি নিয়ে বিব্রত স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশও এখন তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। এই অংশটি তাকে দল ও জাতীয় সংসদ হতে বহিস্কার করার দাবি জানাচ্ছে।
সুন্দরগঞ্জের পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন বলছেন, আওয়ামী লীগ, যুব লীগ, ছাত্র লীগ সহ দলের অঙ্গ-সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে এই দাবী তোলা হয়েছে।
তবে আবদুল্লাহ আল মামুনের এই দাবীর সঙ্গে একমত নন সুন্দরগঞ্জের আওয়ামী লীগের কোন কোন নেতা। তাঁরা মনে করেন, দল ও জাতীয় সংসদ থেকে মনজুরুল ইসলাম লিটনের অপসারণের দাবী একটি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে করা হচ্ছে।
সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে তিনি আদালতে আত্মসমর্পন না করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কিন্তু দৃশ্যত এখনো তাঁর বিরুদ্ধে আইনী কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলছেন, সুন্দরগঞ্জের এমপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে স্থানীয় বাস্তবতার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
মি. হানিফ বলছেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের আগামী বৈঠকে মনজুরুল ইসলাম লিটনের বিষয়টি উত্থাপিত হলে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে এবং তারপরই কেবল একটি সিদ্ধান্ত হতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন