রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশির হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজশাহীর একটি বেসরকারি ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে আটক করে রংপুরে নিয়ে আসা হয়েছে। আজ শুক্রবার রাজশাহীর ব্র্যাক ব্যাংকের সেলস অ্যান্ড সার্ভিস অফিসার সুলতান নাহিদ ও ক্রেডিট কার্ড অফিসার এইচ এম শাহরিয়ারকে রাজশাহী থেকে মহানগর পুলিশের সহায়তায় আটক করে রংপুর পুলিশ।
এর মধ্যে নিহত জাপানি নাগরিক কুনিওর খামারের সহযোগী হুমায়ুন কবির ওরফে হিরার খালাতো ভাই এই সুলতান নাহিদ। শাহরিয়ার হচ্ছেন নাহিদের বন্ধু।
দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কাউনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মামনুর রশিদ।
এর আগে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার সুশান্ত চন্দ্র রায় বলেন, সকাল ১০টার দিকে রাজশাহী পুলিশের সহায়তায় রংপুরের পুলিশ এসে তাঁদের ধরে নিয়ে যায়।
এদিকে কুনিওর মরদেহ মুন্সিপাড়া কবরস্থানে দাফন করার জন্য আজ শুক্রবারও দিনভর শহরজুড়ে আলোচনা চলেছে। এ হত্যাকাণ্ডের বিষয় এবং কুনিওর মরদেহ কখন হস্তান্তর করা হবে এমন বিষয়ে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন নীরব রয়েছে। কুনিওর ময়নাতদন্তের ছয় দিন পার হলেও মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রয়েছে।
এদিকে, কুনিও হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে এর আগে যে দুজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। রিমান্ডে যাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁরা হলেন, রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্য রাশেদ-উন-নবী খান ওরফে বিপ্লব এবং নিহত জাপানি নাগরিক কুনিওর খামারের সহযোগী হুমায়ুন কবির ওরফে হিরা। গত সোমবার সন্ধ্যায় তাঁদের বিচারিক হাকিম আবু তালেবের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আদালত তা মঞ্জুর করেন।
এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের হেফাজতে থাকা কুনিওর বাড়িওয়ালা গোলাম জাকারিয়া ওরফে বালা, কুনিওকে পরিবহন করা রিকশাচালক মুন্নাফ আলী ও প্রত্যক্ষদর্শী মুরাদ হোসেনকে এখনো ছেড়ে দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, ৩ অক্টোবর সকালে রংপুর শহরের উপকণ্ঠে কাউনিয়া উপজেলার সারাই ইউনিয়নের কাচু আলুটারি গ্রামে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি তাঁর খামারে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন।
prothom alo
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন