সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে দলে দলে শরণার্থী ও অভিবাসী ইউরোপে আসতে থাকার প্রেক্ষাপটে আরো বেশ কয়েকটি দেশ তাদের সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
যে দেশটি সবচাইতে বেশ অভিবাসীকে আশ্রয় দিচ্ছিল, সেই জার্মানি গতকাল গতকাল তাদের সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করার পরই - তার প্রতিবেশী অন্য ইউরোপীয় দেশগুলোও পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে।
অস্ট্রিয়ার ভাইস-চ্যান্সেলর রেইনহোল্ড মিটারলেহনার বলেছেন, অভিবাসী সংকট সামলাতে তারা দু'হাজারেরও বেশি সৈন্য পাঠাচ্ছেন।
স্লোভাকিয়া ঘোষণা করেছে, সেদেশের সাথে অস্ট্রিয়া ও হাঙ্গেরির যে সীমান্ত রয়েছে - সেখানে প্রহরা জোরদার করা হচ্ছে। এর আগে চেক প্রজাতন্ত্রও একই রকম ব্যবস্থা নেয়।
জার্মানি বলেছে এ বছর তাদের দেশে দশ লাখ শরণার্থী আসবে বলে ধারণা করছে, যদিও এর আগে জার্মানি এই সংখ্যা ৮ লাখ হবে বলে জানিয়েছিল।
অন্যদিকে আজই ইউরোপের স্বরাষ্ট্র ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রীরা এই অভিবাসী সংকট নিয়ে এক বৈঠকে বসছেন।
সিরিয়া এবং ইরিত্রিয়া থেকে আসা ৪০ হাজার শরণার্থীকে বাধ্যতামূলক কোটার ভিত্তিতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে ভাগ করে দেবার যে পরিকল্পনা করা হয়েছে - তার ওপর এই বৈঠকে ভোটাভুটি হতে পারে। তবে মধ্য ও পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলো এর বিরোধিতা করেছে।
ইইউ বলছে, ২৩টি দেশের মধ্যে মোট ১ লাখ ৬০ হাজার আশ্রয়প্রার্থীকে ভাগাভাগি করে নেবারও কথা হচ্ছে।
অবশ্য অনেক অভিবাসীই গ্রীস বা হাঙ্গেরিতে নিবন্ধিত হতে চায় না। তাদের ভয়, এর ফলে তারা আর জার্মানি বা অন্য ইইউ দেশে আশ্রয় পেতে পারবে না।
bbc
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন