বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

হাঙ্গেরিতে ঢুকলেই গ্রেপ্তার, অনশনে অভিবাসীরা

 
কাঁটাতারের বেড়া গলে অনেক অভিবাসী সার্বিয়া থেকে হাঙ্গেরিতে ঢুকে পড়ছে
ইউরোপ অভিমুখে শরণার্থীদের স্রোত ঠেকাতে হাঙ্গেরি তার দক্ষিণ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে জরুরী অবস্থা জারী করেছে।
আজ (মঙ্গলবার) থেকে যারা এই সীমান্ত অবৈধভাবে পার হওয়ার চেষ্টা করবে তারা ফৌজদারি অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হবে। শাস্তি হিসেবে কারাদণ্ড অথবা তাকে ফেরত পাঠানো হবে।
জরুরী অবস্থা জারীর কয়েক ঘণ্টা ঘণ্টা আগে সার্বিয়ার সীমান্ত পার হয়ে অভিবাসীরা যাতে দেশটিতে ঢুকতে না পারে সেজন্যে একটি কঠোর আইন করা হয়।
আইনটিতে শরণার্থী ঠেকাতে পুলিশকে বিশেষ কিছু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে সৈন্যও মোতায়েন করার কথাও বলা হয়েছে।
হাঙ্গেরির পুলিশ বলছে সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে অবৈধ ভাবে আসার চেষ্টা করছিল এমন ৬০ জন অভিবাসীকে ইতিমধ্যে আটক করেছে তারা।
এর আগে সোমবার মধ্যরাতে আইনটি কার্যকর হওয়ার পর সার্বিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে যে রেললাইন ক্রসিং পয়েন্ট দিয়ে হাজার হাজার মানুষ হাঙ্গেরিতে ঢুকছিল সেটি বন্ধ করে দেয় পুলিশে।
কাঁটাতার দেওয়ার পাশাপাশি সীমান্তে টহল বাড়িয়েছে হাঙ্গেরি
অভিবাসীদের ঠেকাতে অশ্বারোহি পুলিশ সীমান্ত এলাকাতে টহল দিচ্ছে।
গত এক বছরে হাঙ্গেরিতে সব মিলিয়ে দুই লক্ষের বেশি অভিবাসী ঢুকেছে। তাদের সিংহভাগই অবশ্য অস্ট্রিয়া হয়ে জার্মানি সহ ইউরোপের অন্যান্য কয়েকটি দেশে চলে গেছে।
প্রতিবাদে সার্বিয়া-হাঙ্গেরি সীমান্তে দুশরও বেশি অভিবাসী অনশন ধর্মঘট শুরু করেছে। হাঙ্গেরিতে ঢুকতে না দেওয়া পর্যন্ত তারা খাবার - পানীয় স্পর্শ করবে না বলে হুমকি দিয়েছে।
ইউরোপ নিয়ে জার্মানির ক্ষোভ
ওদিকে, অভিবাসন সঙ্কট নিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল ইউরোপীয় ইউনিয়নের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে একটি জরুরী শীর্ষ বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন।
আশ্রয়প্রার্থীদের ইউরোপ জুড়ে ভাগাভাগি করে নেওয়ার এক প্রস্তাবে মধ্য ইউরোপের দেশগুলো সোমবার আটকে দেয়। তারপর জার্মান চ্যান্সেলর এই আহ্বান জানান।
শরণার্থী প্রার্থীদের দায়ভাগ নিতে অস্বীকৃতির জন্য তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জার্মানি।
জার্মান ভাইস চ্যান্সেলর সিগমার গ্যাব্রিয়েল মন্তব্য করেন, ইউরোপের জন্য এটা লজ্জার ব্যাপার।
bbc

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন