বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলার যুক্তিতে ২০০২ সালে "অপারেশন ক্নিনহার্ট" অভিযানে জড়িতদের দায়মুক্তি দিয়ে করা আইনকে অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট।
এর ফলে ঐ অভিযানে নিহতদের পরিবার এখন মামলা করতে পারবে।
সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ঐ অভিযানে পঞ্চাশেরও বেশি লোক হেফাজতে মারা যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরকার এবং সেনাবাহিনী সেসব মৃত্যুর কারণ হিসাবে হৃদরোেগ আক্রান্তের ব্যাখ্যা দিত।
বিএনপি নেতৃত্বে তৎকালীন সরকার ২০০৩ সালে ঐ অভিযানের সাথে জড়িতদের দায়মুক্তি দিয়ে সংসদে একটি আইন পাশ করে।
সেই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১২ সালে জেড আই পান্না নামে একজন মানবাধিকার আইনজীবী হাইকোর্টে রিট মামলা করেন। তার যুক্তি ছিল এ ধরনের দায়মুক্তি আইন বাংলাদেশের সংবিধানের পরিপন্থী।
সেই রিট মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই হাইকোর্ট ঐ দায়মুক্তি আইনকে আজ (রোববার) অবৈধ ঘোষণা করলো।
মি পান্না বলেন, এর ফলে অপারেশন ক্নিনহার্ট ক্ষতিগ্রস্তরা এখন মামলা করতে পারবেন।
রিট মামলাটি করতে তিনি দশ বছর কেন অপেক্ষা করেছিলেন--এই প্রশ্নে অ্যাডভোকেট পান্না বিবিসিকে বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি প্রয়োজন।
আমাদের সংবাদদাতা আকবর হোসেন বলছেন, এই রিট মামলার বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনও বিরোধিতা হয়নি বলে মনে হয়েছে।
এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কিনা -- এই প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বিবিসিকে বলেন, তিনি সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করবেন।
তবে একইসাথে মি আলম মন্তব্য করেন, সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক কোনও আইন দেশে থাকতে পারেনা।
"মেরে ফেলে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার ধারনা গ্রহণযোগ্য নয়।"
২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বে জোট সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জনমনে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল।
সে সময় খালেদা জিয়ার সরকার সেনা নেতৃত্বে অপারেশন ক্লিনহার্ট নামে ঐ অভিযান শুরু করে।
bbc
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন