বাংলাদেশে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিউশন ফি'র উপর আরোপিত ৭.৫% ভ্যাট প্রত্যাহার করে নিয়েছে সরকার।
সোমবার বিকেলে এক সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, "সরকার কোন মতেই শিক্ষাঙ্গনে কোন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করতে চায় না এবং জনজীবনে অসুবিধারও সৃষ্টি করতে চায় না।"
এতে বলা হয়, "সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করে সরকার ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ওপর যে সাড়ে ৭ শতাংশ মূসক (মূল্য সংযোজন কর) আরোপিত হয় সেইটি প্রত্যাহার করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।"
তবে এর কয়েক ঘন্টা আগেই 'ভ্যাট প্রত্যাহার করে নিচ্ছে সরকার' - এমন খবর ছড়ানোর পর গত ক'দিন ধরে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা আনন্দ-উল্লাস এবং মিষ্টি খাওয়া শুরু করে। ঢাকার রাজপথে ছাত্রদের অবস্থান-অবরোধও এর কিছু পরেই তুলে নেয়া হয়।
ঢাকার ধানমন্ডি, পান্থপথ, রামপুরা এবং মহাখালী ইত্যাদি এলাকায় ছাত্রছাত্রীদের অবরোধ উঠে যাবার পর রাজপথগুলোয় এখন স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে এসেছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কয়েকজন বিবিসি বাংলাকে বলেন, তাদের আন্দোলনের বিজয় হয়েছে।
ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে গত কিছুদিন ধরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন করছিলেন, তার প্রেক্ষাপটে গতকালই অর্থমন্ত্রীর কথায় আভাস পাওয়া গিয়েছিল যে সরকার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করছে।
সম্প্রতি বিরোধীদল বিএনপি ছাড়াও এমনকি সরকারি দলের কয়েকজন নেতা এবং সরকার-সমর্থক ছাত্রসংগঠনও এই ভ্যাটের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেয়।
তবে অর্থমন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান আজ বিবিসিকে বলেন, কোন চাপের কারণে নয় বরং জনগণের বৃহত্তর স্বার্থের জন্যই ভ্যাট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আজ মন্ত্রীসভার এক বৈঠকেও এ নিয়ে আলোচনা হয় বলে উচ্চপর্যায়ের কিছু সূত্রে জানা যায়।
আজ সচিবালয়ে মন্ত্রীসভার বৈঠক শেষে সরকারের একজন সিনিয়র মন্ত্রী 'আজই এ ব্যাপারে একটি নির্দেশনা আসার কথা' বিবিসিকে বলেন।
মন্ত্রীসভার ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত সহ সরকারের অন্যান্য মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন