বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলা হবিগঞ্জে, চা বাগানের জায়গায় বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা গড়ে তুলতে যে ৫১১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে তা ফিরিয়ে দেয়ার জন্যে ২৫ শে জানুয়ারি পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছে সেখানকার চা শ্রমিকরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন বাগান এলাকায় শিল্প কারখানা হলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে চা বাগানগুলো ।
বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে 'প্ল্যান্টেশন বিশেষজ্ঞ' নাসিম আনোয়ার বলেন, “চা শিল্পের ওপর বিরাট খড়গ পড়ছে । এ শিল্পের অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সরকারের উচিত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা।”
তবে জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম বলেছেন বাগানের জমি ফিরিয়ে দেয়ার সুযোগ নেই তবে সরকার ক্ষতিপূরণসহ শ্রমিকদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে।
তবে তারপরেও বাগানে অর্থনৈতিক অঞ্চল করার এ উদ্যোগ চা বাগানগুলোর মালিকদের জন্যও ক্ষতিকর হবে - এমনটাই বলছিলেন নাসিম আনোয়ার।
তিনি বলেন সরকার চা বাগানের জন্যে জমি দিলে নিয়মানুযায়ী অর্ধেক জমিতে শ্রমিকদের বাসস্থান বা ওদের জন্যে দিতে হয় নানা কাজে ব্যবহারের জন্যে। কিন্তু সরকার বলছে অর্ধেক জায়গা তো কাজে লাগছেনা।
শিল্প এলাকা হলে চা বাগানের ওপর কি প্রভাব পড়বে , এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন চা বাগান এতে সংকটে পড়বে এবং শ্রমিক সংকট দেখা দিবে।
“পিক সিজন হচ্ছে জুন থেকে সেপ্টেম্বর। ওই সময় শ্রমিক না পেলে সময়মত চা পাতা তোলা না গেলে সমস্যা হবে। গুনগত মানেও প্রভাব পড়বে।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন