রবিবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১৬

বাইপ্লেনে উড়ে অর্ধেক বিশ্ব ভ্রমণ

 

অভিযান শেষে স্পিরিট অফ আর্টেমিস-এর ওপর টেসি কার্টিস-টেলর।Image copyrightReuters
Image captionঅভিযান শেষে স্পিরিট অফ আর্টেমিস-এর ওপর টেসি কার্টিস-টেলর।
ব্রিটেনের এক অভিযাত্রী একটি পুরনো বাইপ্লেনে চড়ে ১৪,৬০০ নটিকাল মাইল পাড়ি দিয়ে ব্রিটেন থেকে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছেছেন।
৫৩-বছর বয়সী ট্রেসি কার্টিস-টেলর গত অক্টোবর মাসে ব্রিটেনের ফার্নবরা থেকে যাত্রা শুরু করেন।
তার বিমানটির নাম স্পিরিট অফ আর্টেমিস। এটি একটি খোলা ককপিটের ১৯৪২ সালের বোয়িং স্টারম্যান বিমান।
তিনি ২৩টি দেশের ওপর দিয়ে উড়ে গিয়েছেন এবং বিমানে তেল ভরার জন্য তাকে মোট ৫০ বার থামতে হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরে অবতরণের পর মিস কার্টিস-টেলর এক টুইট বার্তায় তার এই অভিযানে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
পূর্ব এশিয়ার ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময়।Image copyrightReuters
Image captionপূর্ব এশিয়ার ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময়।
এই অভিযানে মিস কার্টিস-টেলর ফার্নবরা থেকে যাত্রা শুরু করে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ভিয়েনা হয়ে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যান।
সেখান থেকে জর্দানের রাজধানী আম্মান হয়ে তিনি আবুধাবিতে পৌঁছান।
এরপর আরব সাগর পাড়ি দিয়ে তিনি পাকিস্তানের করাচী হয়ে মিয়ানমারের ইয়াংগন শহরে পৌঁছান।
পূর্ব এশিয়ায় মিস কার্টিস-টেলর মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা হয়ে টিমোর পৌঁছান।
সেখান থেকে তিনি তার অভিযানের শেষ গন্তব্যস্থল সিডনিতে অবতরণ করেন
এই অভিযানে ট্রেসি কার্টিস-টেলরকে তিনটি মহাদশে পাড়ি দিতে হয়।Image copyrightReuters
Image captionএই অভিযানে ট্রেসি কার্টিস-টেলরকে তিনটি মহাদশে পাড়ি দিতে হয়।
তবে ইওরোপ থেকে অস্ট্রেলিয়া যাত্রায় ট্রেসি কার্টিস-টেলরই প্রথম কোন অভিযাত্রী নন।
১৯৩০ সালে এমি জনসন নামে এক মহিলা প্রথমবারের মতো এই পথ পাড়ি দিয়েছিলেন।
ট্রেসি কার্টিস-টেলর এমি জনসনের পথকেই শুধু অনুসরণ করেছেন।
এমি জনসনImage copyrightPA
Image captionএমি জনসন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন